
জালিয়াতির শেষ নেই। চারপাশে ঠগরা অপেক্ষা করে আছে কত রকম ভাবে আপনাকে প্রভাবিত করা যায়। এমনকি রোজের ব্যবহারের সাধারণ জিনিসগুলিকেও ছাড়া হয় না। সম্প্রতি হায়দরাবাদে একটি বেআইনি আদা-রসুন বাটা তৈরির কারখানায় হানা চালায় আধিকারিকরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় রাসায়নিক মেশানো আদা-রসুন বাটা। যা সরবরাহ করা হত এলাকার সাধারণ দোকান এবং সরাসরি গ্রাহকদের কাছেও। আদা-রসুন পেস্টে মেশানো হত Titanium Dioxide এবং Mono Citrate নামক ক্ষতিকারক রাসায়নিক। Food Safety and Standards Authority of India (FSSAI)-এর নিয়ম অনুযায়ী যা খাবারে মেশানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভারতীয় রান্নায় আদা-রসুন বাটা এক অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু আজকাল সময়ের অভাবে অনেকেই দোকান থেকে কিনে আনেন পেস্ট। কীভাবে বুঝবেন, সেটা নিরাপদ আর ভাল কিনা?
১. গন্ধ – ঢাকনা খুলে একবার ভাল করে গন্ধ শুকে নিন। খাঁটি হলে তার গন্ধ তীব্র ও প্রাকৃতিক হয়। যদি গন্ধ টক, রাসায়নিকমিশ্রিত বা অস্বাভাবিক ভাবে হালকা হয়, তবে তাতে সংরক্ষণকারী রাসায়নিক বা নকল উপাদান থাকতে পারে।
২. চেহারা – একটু বাটা চামচে তুলে দেখে নিন। খাঁটি বাটা একেবারে মসৃণ হয় না কারণ আদা ও রসুন ফাইবারযুক্ত। যদি বাটা বেশি মসৃণ, জেলির মতো বা চকচকে দেখায়, তবে তাতে স্টার্চ বা কৃত্রিম থিকনার থাকতে পারে।
৩. জলে মিশিয়ে দেখুন – এক চামচ বাটা একটি গ্লাস জলে রেখে দিন ১০–১৫ মিনিট। যদি তা দ্রুত আলাদা হয়ে যায় বা রং ছড়ায়, বুঝবেন তাতে রঙ বা ফিলার মেশানো আছে। খাঁটি বাটা তেমনভাবে রঙ ছাড়ে না।
৪. আয়োডিন পরীক্ষা – একটু বাটার ওপর কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দিন। যদি বাটার রং নীলচে-কালো হয়ে যায়, বুঝবেন তাতে স্টার্চ আছে। এটি একপ্রকার ভেজাল যা পরিমাণ বাড়াতে মেশানো হয়।
দোকানে বিক্রি হওয়া আদা-রসুন বাটার খাঁটি কি না তা বুঝতে এই পরীক্ষা গুলি ঘরেই করা সম্ভব।