
ওজন কমাতে চান? কিন্তু চাইলেই তো আর কমানো যায় না। লোভ সামলাতে না পারলে ওজন কমানো সহজ হয় না। হাতের কাছে প্রিয় খাবার থাকলেও, তা খাওয়া চলবে না। ডায়েটের সঙ্গে শরীরচর্চাও করতে হবে সমানতালে। দিনের পর দিন ডায়েট ফলো করছেন, ওয়ার্কআউট করছেন, আর ভেবে যাচ্ছেন ওজন কমছে। সত্যিই কি কমছে ওজন? আসলে মাঝে মাঝে ওজন মাপাটাও দরকার। তা হলেই মিলবে ওজন কমানোর অনুপ্রেরণা। এ বার প্রশ্ন হল কখন ওজন কমাবেন? যখন তখন ওজন মাপলে চলবে না না। এ ছাড়া রোজ ওজন মাপলেও লাভ নেই। জেনে নিন কত দিন অন্তর ওজন মাপলে সঠিক ফল মিলবে।
১) যদি আপনি ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা হলে সপ্তাহে অন্তত একবার ওজন মাপা উচিত। এক সপ্তাহে ওজন কমা সম্ভব সেই অর্থে নয়। কিন্তু ওজন যদি দেখেন একটু স্বাভাবিকের থেকে বেশি বেড়েছে, তা হলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়।
২) প্রতিদিন ওজন মাপলে প্রকৃত ওজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। পাশাপাশি অনেক সময় বেশি পরিমাণে জল খেয়ে ফেললেও মোট ওজনের উপর প্রভাব পড়ে। রাতে কী খাবার খাচ্ছেন অনেকটা তার উপরও দেহের ওজন নির্ভর করে। যদি রাত্রিবেলা কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে নেন তা হলে পরের দিন ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৩) মাথায় রাখতে হবে যে, খাবার খাওয়ার পরই কিন্তু ওজন মাপা ঠিক হবে না। খাবার পরিপাক হওয়ার সময়টা অন্তত দিতে হবে। না হলে ওজন বাড়া কমা হতেই পারে।
৪) কেউ কেউ জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার পর পরই ওজন মাপেন। তাতে কিন্তু সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। শরীর থেকে যখন ঘাম বেরিয়ে যায়, ক্যালোরি বার্ন হয়, সেই সময় ওজনও সাময়িকভাবে কমে। ঠিক একইরকম ভাবে মল-মূত্র ত্যাগ করার পরেও দ্রুত সাময়িক ওজন কমে যায়।
৫) অনেক সময় দেহে যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তা হলেও ওজনে হেরফের হয়। এর ফলে পিরিয়ডের সময় বা পিরিয়ডের আগে এবং পরে ওজন মাপা ঠিক নয়। ওই সময় দেহে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই তখন ওজন মাপলে এক থেকে দু’কেজি বেশি দেখা যেতে পারে।