মনের সুখে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন ভেবে যে ক্রিমটি মাখছেন, সেটাই আপনার ত্বকের বিপদ ডেকে আনছে না তো? প্রচুর দাম দিয়ে ক্রিম, ময়েশ্চরাইজার কিনে মাখেন অনেকেই। সেগুলি কেনার সময় অনেকেই খোঁজেন এক্সপায়ারি ডেট। তাতে যখনই দেখেন কেনার সময় থেকে ১-২ বছর পরের কোনও তারিখ রয়েছে, তখনই অনেকেই ভাবেন নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টগুলোরও (Skincare Product) তো এক্সপায়ারি ডেট হয়। অনেকের এ কথা বিশ্বাস হয় না। কিন্তু এটাই ঠিক। আবার এও ঠিক যে, শুধু এক্সপায়ারি ডেট দেখে কোনও প্রসাধন সামগ্রী কিনলে নষ্ট হতে পারে আপনার ক্রিম। কারণ, প্রত্যেক ক্রিম বা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের গায়ে থাকে একটি ছোট্ট চিহ্ন। যা নজর এড়িয়ে গেলেই ঘটে বিরাট বিপদ। অজান্তেই নিজের ত্বকে ডেকে আনছেন না তো সেই বিপদ?
অনেকের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট খুবই সখের হয়। কিন্তু সেটা হলেও মেয়াদ শেষের পর আর ব্যবহার করা উচিত নয়। কোনও ক্রিম বা ময়েশ্চরাইজার খারাপ হয়ে গেলে, তা আর মাখা ঠিক নয়। এই যেমন, যদি দেখেন ক্রিম বা ময়েশ্চরাইজারের কৌটো থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে বা রং পরিবর্তন হয়েছে তা হলে সেটি আর ত্বকে লাগানো উচিত নয়। সকল প্রসাধন সামগ্রীতে নির্দিষ্ট একটি তারিখ উল্লেখ থাকে। সেটি পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই প্রোডাক্টটি আর ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ছাড়াও অনেক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়কালের উল্লেখ থাকে। যদি দেখেন কোনও প্রসাধনীতে রয়েছে 12M লেখা, তা হলে বুঝতে হবে ওই প্রোডাক্টটির সিল খোলার দিন থেকে পরবর্তী ১২ মাস তা ব্যবহারযোগ্য। অনেক প্রোডাক্টের গায়ে 6M লেখা থাকে। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই প্রোডাক্টটির সিল খোলার দিন থেকে পরবর্তী ৬ মাস তা ব্যবহারযোগ্য। সেই মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাঝে মাঝে কিছু প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যায়। অনেকেই তা ব্যবহারও করেন। কিন্তু এই ধরনের চিহ্ন থাকা ক্রিম মেয়াদ শেষের পর ব্যবহার না করাই ভালো।
ক্রিম, ময়েশ্চরাইজারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা মাখলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। এইরকম প্রোডাক্ট মাখলে প্রথমত ত্বকের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ক্রিম ব্যবহার করলে তা থেকে জীবানুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফলে ত্বকে লালচে দাগ, ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই ক্রিম বা প্রসাধন সামগ্রীর মতো চোখের ড্রপ ব্যবহারেরও একটা নির্দিষ্ট সময় হয়। মেয়াদ যতই বেশিদিন থাকুক, চোখের ড্রপের ক্ষেত্রেও সিল খোলার ১ মাসের মধ্যেই তা ব্যবহার করা উচিত।