
ব্রেকআপ—একটি শব্দমাত্র। কিন্তু এর যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে মন, ভেঙে যায় আত্মবিশ্বাস, অনেক সময় জীবনের প্রতি আগ্রহও কমে যায়। যাকে ভালবেসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়াটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকে না। সে চলতে থাকে নিজের ছন্দে। বরং সেই কষ্টকে কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি। কীভাবে এই দুঃখ থেকে নিজেকে বের করে আনবেন? রইল কিছু কার্যকর পরামর্শ।
১. আবেগকে চাপা না দিয়ে মেনে নিন – কষ্ট পাচ্ছেন? কাঁদুন, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। বন্ধু বা পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলুন। আবেগকে দমন করলে তা আরও গভীরে গিয়ে বিষিয়ে তোলে মনকে। তাই দুঃখ, রাগ, অভিমান—সবটাকে সময় দিন, মেনে নিন।
২. সময় দিন নিজেকে – সব কিছুরই নিরাময় সময়ের সঙ্গে আসে। হঠাৎ করে নিজেকে ভুলিয়ে দিতে গিয়ে জোর করে হাসলে বা অন্য সম্পর্কে ঢুকে পড়লে সেটি কেবল সাময়িক প্রশান্তি দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে আপনার এবং সেই মানুষ্টির জন্য আরও ক্ষতিকর। তাই রিবাউন্ডে মন মজানো খুব একটা কার্যকর সমাধান নয়। বরং একা থাকুন, নিজেকে বুঝুন, নিজের ভেতরের জায়গাগুলোকে সাজিয়ে তুলুন।
৩. সামাজিক যোগাযোগ থেকে বিরতি নিন – প্রাক্তনের সোশ্যাল মিডিয়া দেখার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। নিজেকে তুলনা করা, পুরনো ছবি দেখা—এসব দুঃখ বাড়ায়। বরং নিজেকে কিছুদিনের জন্য অনলাইন থেকে দূরে রাখুন। অবশ্যই প্রথমে প্রাক্তনের স্মৃতি বিজড়িত ছবি, পোস্ট সব ডিলিট করুন। মনে রাখবেন কিছু সিদ্ধান্ত সজ্ঞানে নেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি।
৪. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন – মন খারাপের সময় ফাঁকা বসে থাকলে স্মৃতি তাড়া করে। তাই নতুন কিছু শিখুন—পেইন্টিং, গিটার, রান্না বা বই পড়া। শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যস্ত থাকলে মনের ভার হালকা হয়।
৫. কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন – বন্ধু, পরিবার—যাঁরা আপনাকে ভালবাসেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান। মনের কথা ভাগ করে নিলে অনেক হালকা লাগে।
৬. নিজের যত্ন নিন – ভাল খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, একটু শরীরচর্চা—এই ছোট ছোট জিনিসগুলো মনকে ইতিবাচক রাখতে সাহায্য করে। কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমায়। ফলে মন খারাপ কমে। নিজের প্রতি ভালবাসা জাগান।
৭. পেছন না তাকিয়ে সামনে এগোন – প্রেমে ভাঙন মানেই জীবন শেষ নয়। এটা জীবনের একটি অধ্যায়, পুরো গল্প নয়। এই অভিজ্ঞতা আপনাকে আরও পরিণত, আরও শক্তিশালী করে তুলবে।