
চুল নিয়ে চিন্তা পুরুষ মহিলা সকলেরই। চুলের যত্ন অনেকে ঠিক করে নেন না। তার ফলে যখন হেয়ার স্টাইল করার ইচ্ছে হয়, চুল আর সেট হতেই চায় না। সুন্দর করে খোঁপা হোক বা পিঠভর্তি খোলা চুল, যদি সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়, তা হলে কোনওটাই ঠিক জমে না। তবে শুধু শ্যাম্পু করলে, তেল মাখলেই চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। এর জন্য মাঝে মাঝে হেয়ার স্পা করা প্রয়োজন। এই তো পুজো আসছে পার্লারের সামনে এ বার হেয়ার স্পা এর জন্য ভিড় জমবে। একে লম্বা লাইন, তার উপর একগাদা টাকা খরচ। তার চেয়ে বাড়িতে বসেই এ বার করুন হেয়ার স্পা। তার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ হবে না। মাত্র ৫০ টাকাতেই পেয়ে যাবেন চকচকে চুল।
১) ঘুমোনের আগে রাতে আমলকি তেল এবং জবাফুল একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এ বার সেই তেল সারা মাথায় ভাল করে মালিশ করতে হবে। পরের দিন সকালে ১০০ গ্রাম মেথিগুঁড়ো, ২০ গ্রাম শিকাকাই গুঁড়ো, ২০ গ্রাম আমলকি গুঁড়ো ও মেহেন্দিপাতা গুঁড়ো এবং অল্প টক দই মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানান। এই হেয়ার প্যাকটি ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মাথা ধুতে হবে। এ বার গরম জলে তোয়ালে ভেজান। তা ভাল করে চেপে রাখুন চুলে। এই ভাবে তোয়ালে চুলে জড়িয়ে স্টিমিংয়ের কাজ হয়ে যাবে। এ বার শ্যাম্পু করে নিন। যদি এই হেয়ার প্যাক সপ্তাহে দু’বার ঠিকমতো লাগাতে পারেন তা হলেই ফিরবে হারিয়ে যাওয়া চুলের জেল্লা।
২) কলা যদি বেশি পেকে যায়, তা হলে সেই ঠিক স্বাদটা পাওয়া যায় না। বেশি পাকা কলা হাতের সামনে থাকলে নাক সিঁটকে তা ফেলে না দিয়ে তা থেকে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার প্যাক। কলা প্রথমে মিক্সারে ঘুরিয়ে পেস্ট বানান। তারপর কলার মিশ্রণের সঙ্গে অলিভ অয়েল মেশান। তারপর আরও এক বার ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এ বার গরম জলে তোয়ালে ভেজান। তা ভাল করে চেপে রাখুন চুলে। এই ভাবে তোয়ালে চুলে জড়িয়ে স্টিমিংয়ের কাজ হয়ে যাবে। এ বার ১০ মিনিট পর ভেজা চুলে ভাল করে কলার মাস্ক লাগাতে হবে। তার ১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু মেখে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
৩) শসাকুচি আর অলিভ অয়েল মিক্সারে দিয়ে একখানা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার গরম জলে তোয়ালে ভেজান। তা ভাল করে চেপে রাখুন চুলে। এই ভাবে তোয়ালে চুলে জড়িয়ে স্টিমিংয়ের কাজ হয়ে যাবে। ১০ মিনিট পর ভেজা চুলে ভাল করে শসা ও অলিভ অয়েলের মাস্কটি ব্যবহার করুন। এ বার ১৫ মিনিট রাখুন। তারপরে শ্যাম্পু করে চুল ধুতে হবে। তা হলেই পার্লারে করানো স্পা এর মতোই চকচক করবে চুল।