
দুর্গাপুজোর সময়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা, রোদ, ধুলো, মেকআপ আর জাঙ্ক ফুড—সব মিলিয়ে ত্বকের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে যায়। আয়নায় তাকালে দেখা যায় ক্লান্ত, রুক্ষ, নিস্তেজ মুখ। এদিকে পরের দিন আবার বেরোতে হবে তো! এই নিস্তেজ মুখে কীভাবে পুজোর দিনে ঘুরবেন তা নিয়ে চিন্তা? কুছ পরোয়া নেহি! কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ মানলে এক রাতেই ফিরে পেতে পারেন সেই কাঙ্ক্ষিত ফ্রেশ গ্লো।
সঠিকভাবে ক্লিনজিং – প্যান্ডেল হপিং শেষে ত্বকের ওপর ধুলো, ঘাম ও মেকআপ জমে যায়। তাই ঘরে ফিরে প্রথম কাজ হওয়া উচিত ডাবল ক্লিনজিং। প্রথমে মেকআপ রিমুভার বা নারকেল বা বাদাম তেল দিয়ে মেকআপ ভালোভাবে তুলে ফেলুন। এরপর মাইল্ড ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
এতে ত্বক নিঃশ্বাস নিতে পারবে এবং বন্ধ হয়ে থাকা রোমছিদ্র পরিষ্কার হবে।
স্টিম থেরাপি – ক্লিনজিংয়ের পরে ২-৩ মিনিট গরম জলের ভাপ নিন। চাইলে জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা গ্রিন টি দিতে পারেন। এতে রোমছিদ্র খুলে যায় এবং ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসে। ত্বক সতেজ হয়ে ওঠে।
হাইড্রেটিং ফেস প্যাক – ত্বকের ক্লান্তি এক রাতেই কমাতে চাইলে হাইড্রেটিং প্যাক জরুরি। তার জন্য দামী প্রোডাক্ট কিনতে হবে না। রইল বাড়িতে ফেসপ্যাক বানানোর উপায়।
দই, মধু: দই ত্বককে ঠান্ডা করে, মধু আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।
অ্যালোভেরা জেল, গোলাপজল: ফ্রেশ লুকের জন্য এটি দারুণ।
শসার রস, লেবুর রস: ট্যান কমিয়ে ফ্রেশ লুক এনে দেয়।
২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
সিরাম ও ময়শ্চারাইজার – ফেস প্যাক ধুয়ে নেওয়ার পর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম (ভিটামিন সি বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড) ব্যবহার করলে ত্বক সারারাত রিপেয়ার হয়। এরপর স্কিন টাইপ অনুযায়ী হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল থাকবে।
ঠোঁট ও চোখের যত্ন – প্যান্ডেল হপিং শেষে চোখ ফুলে যাওয়া বা কালো দাগ দেখা স্বাভাবিক। চোখের নিচে কোল্ড কমপ্রেস (ঠান্ডা দুধে ভেজানো কটন বা শসার টুকরো) ব্যবহার করুন। ঠোঁটে লিপ বাম লাগাতে ভুলবেন না।
হাইড্রেশন জরুরি – শুধু বাইরে নয়, ভেতর থেকেও ত্বক হাইড্রেট রাখা দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস উষ্ণ পানি বা হারবাল চা (ক্যামোমাইল/গ্রিন টি) খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং ত্বক সকালে ফ্রেশ দেখায়।
বিউটি স্লিপ – সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম। ঘুমের সময় ত্বকের কোষগুলো রিপেয়ার হয়। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া উচিত।