
কমলালেবু ভেবে যেটা খাচ্ছেন, সেটা আসল তো? মার্কেটে কেনার সময় খেয়াল রাখুনImage Credit source: Pinterest
শীতকাল মানেই টাটকা কমলালেবুর মিষ্টি গন্ধ। তবে আজকাল ফলের বাজার ঘুরলে অনেককেই সংশয়ে পড়তে হয়। চোখের সামনে চকচকে, গোলগাল যে কমলাটি দেখছেন, সেটি কি সত্যিই মিষ্টি কমলালেবু (Orange), নাকি তারই চটপটে আর এক প্রজাতি কিনো (Kinnow)? দুটি ফল দেখতে প্রায় একই রকম হলেও, স্বাদ, খোসার গঠন এবং উৎসের দিক থেকে এদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ক্রেতাদের এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য জেনে নিন এই দুটি জনপ্রিয় সাইট্রাস ফলের মধ্যেকার মূল তফাৎগুলি।
কমলালেবু ও কিনোর মূল তফাৎ-
১) খোসা
- কিনোর খোসা তুলনামূলকভাবে মোটা, শক্ত ও আঁটসাঁট। সহজে ছাড়ানো যায় না।
- কমলালেবুর খোসা পাতলা, মসৃণ এবং নরম। সহজেই হাতে ছাড়ানো যায়।
২) রং
- কিনো সাধারণত গাঢ় কমলা বা লালচে রঙের হয়।
- কমলালেবু সাধারণত হালকা কমলা বা হলুদাভ রঙের হয়।
৩) স্বাদ
- কিনো রসে ভরা হলেও স্বাদে কিছুটা টক বা চটপটে ভাব থাকে।
- কমলালেবু স্বাদে মিষ্টি এবং রসালো, টকের ভাগ কম থাকে।
৪) বীজ
- কিনোর ভেতরে বীজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে, যা খাওয়ার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করে।
- কমলালেবুর বীজের সংখ্যা খুব কম বা অনেক ক্ষেত্রে বীজবিহীনও হতে পারে।
৫) আকার
- কিনো আকারে সামান্য বড় এবং কিছুটা চ্যাপ্টা প্রকৃতির হতে পারে।
- কমলালেবু সাধারণত গোলাকার এবং মাঝারি আকারের হয়।
৬) দাম
- কিনোর ফলন বেশি হওয়ার কারণে বাজারে সাধারণত কম দামে পাওয়া যায়।
- কমলালেবুর ফলন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কিনোর চেয়ে দাম বেশি হয়।
স্বাস্থ্যগত দিক থেকে দু’টির অবস্থান
স্বাদ বা দামের পার্থক্য থাকলেও, পুষ্টিগুণের দিক থেকে কিনো এবং কমলালেবু উভয়ই সমানভাবে স্বাস্থ্যকর। দুটি ফলই ভিটামিন সি (Vitamin C), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে ভরপুর। নিয়মিত কিনো বা কমলালেবু খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমে সহায়তা করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।