
শরতের হাওয়া বা বারবার হাত ধোওয়ার অভ্যাস, দু’টোই হাতের কোমলতা নষ্ট করতে পারে। দেখা যায়, যতই ক্রিম লাগানো হোক, কিছুক্ষণ পরেই হাত আবার খসখসে লাগে, চামড়া টানটান হয়ে যায়। অথচ মুখের মতো হাতেরও সমান যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ হাতেই কিন্তু বয়সের ছাপ সবচেয়ে আগে দেখা দেয়। তাই হাতের যত্নে চাই নিয়মিত রুটিন, কিছু সহজ ঘরোয়া কেয়ার আর একটু সচেতনতা।
অ্যালকোহল বা হার্শ কেমিক্যাল-যুক্ত হ্যান্ড ওয়াশ হাতের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। চেষ্টা করুন গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা বা শিয়া বাটার-যুক্ত মাইল্ড হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করতে।
হাত ধোওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাল হ্যান্ড ক্রিম লাগান। এতে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ক্রিমে গ্লিসারিন, নারকেল তেল বা ভিটামিন E থাকলে আরও ভাল হয়।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঘন ময়েশ্চারাইজার বা ঘরোয়া মিশ্রণ লাগাতে হবে। এক চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানান। তা তুলো দিয়ে হাতে লাগিয়ে গ্লাভস পরে নিন। সকালে উঠেই পাবেন নরম, মোলায়েম হাত।
অনেকেই শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখেন, হাতে দেন না। অথচ হাতের ত্বকেও রোদে ট্যান পড়ে, দাগ হয়। তাই বাইরে বেরনোর আগে হাতে SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
চিনি ও নারকেল তেল মিশিয়ে হালকা করে হাত ঘষুন। এতে মৃত কোষ দূর হবে, রক্ত সঞ্চালনও বাড়বে।
ডিটারজেন্ট বা ক্লিনার সরাসরি হাতে যাতে না লাগে, তাই থালা-বাটি ধোওয়া বা পরিষ্কার করার সময় রাবারের গ্লাভস পরতে পারেন।
ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করুন। শুষ্কতা কমবে, ত্বক আরও টানটান থাকবে।
ঘরোয়া হ্যান্ড ক্রিম রেসিপি
২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চা চামচ নারকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা রোজ অয়েল মিশিয়ে রাখুন। ফ্রিজে রেখে প্রতিদিন ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের ত্বক পাতলা হয়। তাই এর যত্নে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার জরুরি। এবং সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষা সবচেয়ে জরুরি। মুখের যত্ন যেমন প্রয়োজন, তেমনই হাতেরও দরকার নিজের মতো করে ভালবাসা। একটু সময় দিলে নিজের হাত আস খসখসে হবে না। থাকবে মোলায়েম কোমল।