
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চামড়া ঝুলে পড়ে। কোনও ব্যক্তিই ঝুলে পড়া ত্বক চান না। তাই আলগা চামড়াকে ফের টানটান করার জন্য অনেকে সাহায্য নেন বোটক্সের। তবে এই ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য অনেকটাই টাকা খরচ করতে হয়। এর চেয়ে বাড়িতে বসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন বোটক্সের বিকল্প। ফ্ল্যাক্স সিড দিয়ে বানিয়ে নিন বোটক্স জেল। বেশি খরচ হবে না, ঝুলে পড়া গালও হবে টানটান।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বোটক্স খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে বোটক্স না করিয়ে যদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন, তা হলেও বার্ধক্যকে রুখে দেওয়া যায়। ফ্ল্যাক্স সিড কীভাবে সেই কাজ করে, কীভাবে বানাবেন বোটক্স জেল, নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।
ফ্ল্যাক্স সিড ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। এই বীজ দিয়ে জেল বানিয়ে নিয়মিত মুখে লাগাতে পারলে ত্বকের ধারে কাছে আসবে না বার্ধক্য। দূরে থাকবে বলিরেখা এবং দাগছোপ। চলুন এ বার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন বোটক্স জেল?
প্রথমে সসপ্যানে ১ কাপ জল গরম করতে হবে। তাতে ২ চামচ ফ্ল্যাক্স সিড মেশান। ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি আঠালো এবং থকথকে হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এরপর একখানা সুতির কাপড়ে মিশ্রণটি ঢেলে নিন। জেল বের করে নিতে হবে। ওই ফ্ল্যাক্স সিডের জেল ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার কিংবা টি ট্রি অয়েল মেশান। তা হলেই তৈরি বোটক্স জেল। একটি কাচের জারে এই জেলটি সংরক্ষণ করতে পারেন। আর তারপর সেই কাচের জার রাখবেন ফ্রিজে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুতে হবে। এরপর ওই বোটক্স জেল নিয়ে মুখে ভাল করে মালিশ করতে হবে। সেই সময় মনে রাখতে হবে, সার্কুলার মোশনে মালিশ করা জরুরি। ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এই জেলটি ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে দু’তিন বার ব্যবহার করতে হবে। ফ্ল্যাক্স সিডের জেল ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। সেইসঙ্গে পুষ্টি জোগায়।
এটি ফ্রিজে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। নিয়মিত মুখে বোটক্স জেল মালিশ করলে বলিরেখা এবং দাগছোপের দৌরাত্ম হবে না। সেই সঙ্গে ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনবে।