
বর্ষার দিন মানেই যেন অনেকের মন করে একটু খিচুড়ি খিচুড়ি! সাধারণত খিচুড়ি কমবেশি সকলের বাড়িতেই হয়ে থাকে। কেউ শুধু চাল, ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি বানান। কেউ আবার তাতে দেন নানা সবজি। তবে খিচুড়ি যে শুধু সবজি দিয়েই ভাল হয়, তেমনটা নয়। চাইলে খিচুড়িতে মাছ, মাংসও দিতে পারেন যে কেউ। তাতে স্বাদে বদল হবে বেশ। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই খিচুড়ির এক আমিষ পদ, চিংড়ি খিচুড়ি। বৃষ্টি পড়ছে, এমন একটা দিনে খাওয়ার প্লেটে যদি থাকে চিংড়ি খিচুড়ি (Chingri Khichuri), তা হলে একদিকে মন ও অপরদিকে পেট দুটোই ভরবে, অন্তত তেমনটাই বলা যায়।
উপকরণ – মাঝারি সাইজের বাগদা চিংড়ি দেড় কেজি, চাল ১ কেজি, পেঁয়াজ মোটা করে কাটা ২ কাপ, মুসুর ডাল দেড় কেজি, রসুন মোটা করে কাটা দেড় কাপ, নুন স্বাদমতো, আদাকুচি ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরো, ছোট এলাচ ৫-৬টি, তেজপাতা ৩-৪টি, শুকনো লঙ্কা ৬-৭টি, তেল ১ কাপ, গাওয়া ঘি ১ টেবিল চামচ, জিরেবাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো ১ চামচ, চিনি অল্প।
চিংড়ি ভাজার উপকরণ – প্রথমে খোসা বাদ দিয়ে পরিষ্কার করা চিংড়ি নিতে হবে। ১ চা চামচ রসুনবাটা, ১ চা চামচ জিরেবাটা, ২-৩টি পেঁয়াজকুচি, হাফ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ৩-৪টি কাঁচা লঙ্কা চেরা, ২ টেবিল চামচ তেল ও পরিমাণমতো নুন নিতে হবে।
প্রস্তুত প্রণালী – গরম তেলে চিংড়ি ভেজে নামিয়ে নিন। খিচুড়ির জন্য তেল গরম করে মশলার ফোড়ন দিয়ে শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন দিয়ে সামান্য ভেজে জিরেবাটা দিয়ে কষিয়ে চাল ও ডাল দিয়ে ভাজতে হবে। ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে আড়াই থেকে তিন লিটার গরম জল দিতে হবে। এ বার ফুটে উঠলে সামান্য হলুদ, নুন, চিনি দিয়ে চিংড়িভাজা মিশিয়ে দমে রাখতে হবে। এ বার কাঁচালঙ্কা চেরা ও ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রাখতে হবে। তা হলেই তৈরি চিংড়ি খিচুড়ি। বৃষ্টির দিনে চিংড়ির এই খিচুড়ি সকলের মন জয় করবে তা কার্যত নিশ্চিত বলা যায়।