
বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এর উপর ধুলোবালি, রোদ, ঘামে মুখে আঠালো ভাব সৃষ্টি হয়। এটা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য এই সময়ে মুখে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যা এড়াতে অনেকেই ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হয় ফেসওয়াশ। ফলে এগুলি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। যার থেকে ত্বকে শুষ্কতা সৃষ্টি হয় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাও হ্রাস হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ঘরে বসে রাসায়নিক ছাড়াই ফেসওয়াশ তৈরি করতে পারি। সেটা দিয়েই ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারি এবং ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কীভাবে বাড়িতে ক্লিনজার বানাবেন জেনে নিন।
প্রাকৃতিক উপাদানে মুখ পরিষ্কারের জন্য কোন জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে?
১. ত্বক পরিষ্কার করতে এবং খোলা ছিদ্রের সমস্যা দূর করতে কাঁচা দুধের সঙ্গে কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের দারুণ উপকার পাওয়া যায়। এটা মুখে লাগানোর পর ১ -২ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই ত্বকের আঠালোভাব দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।
২. রান্নাঘরে পাওয়া জিনিসগুলি দিয়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন ক্লিনজার। এক চামচ বেসন এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে সাধারণ জল বা গোলাপ জল দিয়ে একটি পেস্ট করুন। এই পেস্টটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের নোংরা দূর হবে এবং ত্বক কোমল হব।
৩. এই গরমে অনেকেরই ত্বকে ট্যানিংয়ের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে টক দই এবং মধু উপকারী হতে পারে। আসলে, দইয়ে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের শুষ্কতা কমে। প্রতিদিন নিয়মিত এটি ত্বকে লাগালে ত্বকের টেক্সচার পরিবর্তন হতে শুরু করবে এবং এটি ত্বক সতেজ রাখবে। ট্যানিং সমস্যা থেকেও রক্ষা পাবেন।
ঘরে তৈরি ফেসওয়াশের উপকারিতা
ঘরে তৈরি ফেসওয়াশ থেকে ত্বক পরিষ্কার ও তেলমুক্ত রাখে। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ব্রণের সমস্যা চলে যায়। কারণ প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি ফেসওয়াশ ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে। এটি ত্বকে একটি প্রশান্তিদায়ক প্রভাব দেয় এবং ত্বকের মৃত কোষগুলিও দূর করে। প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে ফ্রি র্যাডিক্যালের ঝুঁকিও কমে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের পিএইচ লেভেলও স্বাভাবিক থাকে।