
পুজো মানেই আনন্দ উৎসব। পুজোর সময় সাজগোজ না করলে চলে! পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না, জুতো এসব পরে থাকেন অনেকে। পুজো মানেই অনেকে শাড়ি পরে থাকেন। আর সেই সঙ্গে থাকে লম্বা লম্বা কানের। বড় কানের দুল যে কোনও মহিলাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। পাশাপাশি কানের দুল বড় হলে অনেকের নজর আগে সেদিকে যায়। অনেক সময় ঝোলা, লম্বা কানের দুল পরলে ব্যথা হয়। এমন সময় কী করবেন? যাতে লম্বা কানের দুল পরলেও ব্যথা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরামও অত্যন্ত জরুরি।
কুর্তি, চুড়িদার, শাড়ি পরলে যদি বড় কানের দুল পরার প্ল্যান করছেন, তা হলে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল—
হাতের কাছে যদি সার্জিকেল টেপ পান, তা হলে সেটির আঠার দিকের অংশটি কানের লতিতে আটকে দিতে হবে। এমনটা করে ভারী কানের দুল পরলে ব্যথা তুলনায় কম হবে। এভাবে দুলের পিনটি ওই টেপ ভেদ করে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসবে। আর সেখানেই প্যাঁচ আটকানো যাবে।
আঠা লাগানো ছোট গোল আকাকের টেপকে বলা হয় ইয়ার লোব। এটি কানে লাগানোর পর ঝোলা বা বড় দুল পরলে যন্ত্রণা খুব একটা অনুভব হয় না।
মাঝে মাঝে দেখা যায় বেশ কিছু ভারী দুলের সঙ্গে টানা চেন থাকে। যা চুলের সঙ্গে আটকে রাখতে হয়। ওই চেনটি চুলে আটকানো থাকলে কানের দুলের ভার কমে। যার ফলে ব্যথাও কম হয়।
অনেক সময় ভারী কানের দুলে সঠিক প্যাঁ থাকে না। এমন সময় যন্ত্রণা হয় কানে। তাই যদি আপনার কানের দুলের প্যাঁচ অনেক দিনের পুরনো হয়ে যায়, তা হলে রবারের তৈরি পুশ ব্যবহার করতে পারেন।
কানে ভারী দুল পরার আগে লতিতে ভাল করে ময়েশ্চরাইজার বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। ময়েশ্চরাইজার বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম খানিক শুকিয়ে গেলে কানের পরে নিতে হবে।