
মুখে যাতে একটাও দাগ না থাকে, কোনও ব্রণ যেন না দেখা দেয়, তাই নিয়ম তার যত্ন নেন। সকাল-বিকাল ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন, ময়েশ্চারাইজার মাখেন। কিন্তু পায়ের দেখভালের সময় একইভাব সচেতন থাকেন? বাইরের কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার পর পা ধুয়ে নেন। স্নানের সময় শরীরের অন্যান্য অংশে সাবান মাখেন, তার মধ্যে পাও থাকে। এর বাইরে আলাদা করে পায়ের যত্ন নেন খুব কম মানুষই। কিন্তু দেখতে গেলে, পায়ের চামড়াই সবার আগে রুক্ষ হয়ে যায়। যে কারণে গোড়ালি ফাটতে থাকে। পাশাপাশি পায়ে ট্যান পড়তে থাকে, যা সহজে দূর হয় না।
পায়ের যত্ন নিতে মাসে অন্তত একবার পেডিকিওর করানো দরকার। কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব নয় প্রতি মাসে হাজার খানেক টাকা ব্যয় করা। তাই বাড়িতেই খুঁজে নিতে হবে সমাধান। প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পা ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। আর সপ্তাহে ১-২ বার ফুট স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ফুট স্ক্রাবও বাজার থেকে কেনার বদলে বাড়িতে বানাতে পারেন। কীভাবে, রইল সমাধান।
মধু ও চিনির স্ক্রাব: মধু ও চিনি সমপরিমাণ নিয়ে মিশিয়ে নিন। ফুট স্ক্রাবটি ঘন হওয়া চাই। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে পায়ে ৫-১০ মিনিট স্ক্রাব করুন। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
কফি ও নারকেল তেলের স্ক্রাব: কফি গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। এটি স্ক্রাবটি পা থেকে মরা চামড়া পরিষ্কার করে দেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তুলবে। পাশাপাশি এই স্ক্রাবটি ট্যানও পরিষ্কার করে দেবে। ৫-১০ মিনিট স্ক্রাব করার ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।
বেকিং সোডা ও লেবুর স্ক্রাব: বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। এটি স্ক্রাবটি পা’কে এক্সফোলিয়েট করবেন। পাশাপাশি সমস্ত দাগছোপ পরিষ্কার করে দেবে। ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে পা ধুয়ে নেওয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।