Women Special Diet Plan: বয়স ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে? তবু থাকতে পারেন মাধুরির মতো লাস্যময়ী! রইল ডায়েট

Women Special Diet Plan: এই বয়সে হাড় ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হরমোনজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। নিচে ৫০ পেরোনো নারীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি নির্দেশনা দেওয়া হলো

Women Special Diet Plan: বয়স ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে? তবু থাকতে পারেন মাধুরির মতো লাস্যময়ী! রইল ডায়েট

Apr 30, 2025 | 10:06 PM

জীবনের পাঁচটি দশক পার করার পর নারীদের শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। এই বয়সে হাড় ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হরমোনজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। নিচে ৫০ পেরোনো নারীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি নির্দেশনা দেওয়া হলো:

 ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি: হাড়ের সুরক্ষা
এই বয়সে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ, দই বা লাচ্ছি খাওয়া উচিত। কাঁটাসহ ছোট মাছ, গাঢ় সবুজ শাকসবজি (যেমন পালংশাক, ব্রকলি) ও কাঠবাদামেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের সঠিক শোষণের জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে সময় কাটানো উচিত, যাতে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।

অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন
বাড়তি লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। অতএব, পাতে বা পানীয়তে বাড়তি লবণ না দেওয়া ভালো। চিপস, চানাচুর, শুঁটকি, সস, সয়া সস, মেয়োনেজ, পনির, কাসুন্দি, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এসব এড়িয়ে চলা উচিত।

শর্করা ও চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ভাত, রুটি, আলু কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। চিনি, মধু বা গুড়ের মতো মিষ্টি খাবার কমিয়ে দিলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

 শরীর ঠান্ডা রাখার খাবার গ্রহণ
মেনোপজের পর হঠাৎ গরম লাগার সমস্যা হতে পারে। তাই লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, ধুন্দুল, পটোল, ডাবের জল, শসা, পাকা পেঁপে, তরমুজ, কলা, টক ফল, পুদিনাপাতা ইত্যাদি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত জল পান করলে প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
নানা রকম শাকসবজি, যেমন মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বিভিন্ন ধরনের কপি ও শাকে প্রচুর ফাইবার থাকে। কলা, খোসাসহ কিছু ফল, হোল গ্রেইন (গোটা শস্য) ও ডাল-বাদামেও ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তের খারাপ চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে ৫০ পেরোনো নারীরা সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদেরও উচিত তাদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া।