
রান্নায় স্বাদে বদল আনতে, স্বাদ বাড়াতে কার্যকরী কারি পাতা। তবে এই পাতার কাজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নয়। কারি পাতা চুলের জন্য ঠিক যেন টনিক! এই পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদান চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতে পারে। কারি পাতা ঠিক মতো ব্যবহার করলে চুল পড়া যেমন কমে, তেমনই নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কারি পাতা চুলের কী কী যত্নে নেয় এবং কীভাবে চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন কারি পাতা।
কারিপাতা চুলের কী কী সাহায্য করে?
১. চুল পড়া কমায় – কারি পাতায় থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া শক্ত করে। এটি চুল পড়া রোধ করে।
২. নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে – কারি পাতা ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন ও বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল ঘন করে।
৩. পাকা চুল হওয়া আটকায় – কারি পাতা পাকা চুল হওয়া আটকাতে পারে। অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, কারি পাতা ব্যবহার করলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
৪. চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় – কারি পাতা নিয়মিত ব্যবহারে চুল চকচকে ও মসৃণ হয়। চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসে।
৫. খুশকি দূর করে – এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ আছে। যা খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
৬. স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে – স্ক্যাল্পে জমে থাকা ধুলাবালি ও তেল সরিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন কারি পাতা?
কারি পাতা ও নারকেল তেল মিশিয়ে একটি তেল বানাতে পারেন। নিতে হবে ১০–১৫টি কারি পাতা ও ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল। এরপর নারকেল তেল গরম করুন। এতে কারি পাতা দিয়ে হালকা ভাজুন যতক্ষণ না পাতাগুলো একটু কালচে হয়ে যায়। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। সপ্তাহে ২ বার স্ক্যাল্পে মাসাজ করে ৩০–৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। একদিকে চুল পড়া কমবে, সেইসঙ্গে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
নারকেল তেল ছাড়া কারি পাতার সঙ্গে মেথি মিশিয়ে মিশ্রণ বানাতে পারেন। ১০টি কারি পাতা নিন। সঙ্গে ১ চা চামচ ভেজানো মেথি। দুটো একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া রোধ করে ও খুশকি দূর করে।