
ওজন কমানো ডায়েটে ওটমিল দুর্দান্ত কাজ করে। ওটস খাওয়ার মতো স্বাস্থ্যকর আর কিছু হয় না। তবে, ওটস শুধু খেলে চলবে না। মুখেও মাখতে হবে। স্কিন কেয়ার রুটিনের অংশ করে তুলতে পারেন ওটসকে। ভিটামিন ই ও প্রোটিনে ভরপুর এই দানাশস্য, ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয়। ওটসের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকের উপর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে সারাক্ষণ ময়েশ্চারাইজড রাখে। ত্বকের বার্ধক্যকে দূরে রাখতে এবং ত্বকের সমস্যা এড়াতে ওটসকে কীভাবে ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
স্নানের জলে মেশান ওটস: ঈষদুষ্ণ জলে এক কাপ ওটস মিশিয়ে দিন। এই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বক ভাল থাকবে। বাথটবে ওটস মিশিয়ে ১৫ মিনিট বসে থাকতে পারেন। এতে ত্বক মসৃণ হয়ে উঠবে।
ওটমিলের মাস্ক: স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া জন্য ওটসের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক কাপ ওটসের সঙ্গে ১/২ কাপ দুধ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে মেখে ১৫ মিনিট বসুন। এই ফেসপ্যাক আপনাকে ত্বককে নরম করে তুলবে।
এক্সফোলিয়েটর: সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করা দরকার। ওটসের সঙ্গে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে ত্বক ৫-১০ মিনিট স্ক্রাব করুন। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করে দেবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্লিনজার: ১/৩ কাপ জল নিন। এতে অর্ধেক কাপ ওটস মিশিয়ে নিন। এতে ওটস ঘন হয়ে যাবে। এই মিশ্রণটি দিয়ে ত্বকের উপর স্ক্রাব করুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে দিন। ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই ক্লিনজার মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল, সেবাম, ময়লা পরিষ্কার করে দেবে।