
ব্রণর সমস্যা নিয়ে আজকাল অনেকেই বিরক্ত। নানা পণ্য ব্যবহার করেও ব্রণ সারার নাম গন্ধ থাকে না। এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে আপনার ঠাকুরঘরেই। শুনলে অবাক হলেও এটাই সত্যি। আসলে সেই ম্যাজিক উপাদান হল চন্দন (Sandalwood)। যা বহু প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ব্রণ (Acne) বা ফুসকুড়ির সমস্যা কমাতে চন্দন বেশ কার্যকরী। এটি ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা ভাব এনে দেয়। সেইসঙ্গে জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।
চন্দনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের জীবাণু ধ্বংস করে, যা ব্রণের মূল কারণগুলির একটি। পাশাপাশি চন্দন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। ব্রণের আর এক অন্যতম কারণ অতিরিক্ত তেল। আর চন্দন সেই তেল শোষণ করে ত্বককে শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণের কারণে হওয়া লালচে ভাব ও ফোলাভাব কমাতে চন্দন অত্যন্ত উপকারী। চন্দনের ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব ত্বককে আরাম দেয় ও ব্রণের কারণে হওয়া অস্বস্তিও কমায়।
ব্রণের সমস্যায় চন্দন কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১. চন্দন ও গোলাপজল প্যাক – চন্দন গুঁড়ো ১ চামচ, গোলাপজল পরিমাণমতো। চন্দন ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত জায়গায় লাগান। ১৫–২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্রণ শুকায় ও ত্বক ঠান্ডা হয়।
২. চন্দন ও হলুদের প্যাক – চন্দন গুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো এক চিমটে, দুধ বা গোলাপজল। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি জীবাণু নাশ করে ও দাগ হালকা করে।
৩. চন্দন ও মধু – চন্দন গুঁড়ো ১ চামচ, মধু হাফ চামচ, একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্রণের জায়গায় লাগাতে হবে। এর ফলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং দাগ হালকা হয়।