সানস্ক্রিন মাখা মাত্রই যদি ত্বক ঘামতে থাকে, তখন কী করবেন?

কিন্তু সানস্ক্রিন মাখা মাত্রই যদি ত্বক ঘামতে থাকে, তখন কী করবেন? এই সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হন। তাই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এই রোদে সানস্ক্রিন না মাখলে চলবে না।

সানস্ক্রিন মাখা মাত্রই যদি ত্বক ঘামতে থাকে, তখন কী করবেন?

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 25, 2025 | 3:36 PM

তাপমাত্রার পারদ ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। কাঠফাটা রোদে বেরোলে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোনো মানে ত্বকের বিপদ ডেকে আনা। বছরের ৩৬৫ দিনই সানস্ক্রিন প্রয়োজন। কিন্তু সানস্ক্রিন মাখা মাত্রই যদি ত্বক ঘামতে থাকে, তখন কী করবেন? এই সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হন। তাই সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এই রোদে সানস্ক্রিন না মাখলে চলবে না। তাই এমন উপায় বেছে নিতে হবে যার ফলে সানস্ক্রিন মাখলেও ত্বকে ঘাম হবে না।

যে হারে তাপমাত্রা বেড়েছে, তাতে পাখার তলায় বসে ঘাম হচ্ছে। আর এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের ত্বক সানস্ক্রিন মাখার পর আরও ঘামতে থাকে। সবার ত্বক সমান হয় না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া জরুরি। আর কোন-কোন টোটকা মানলে ঘাম হবে, দেখে নিন এক নজরে।

১) এসপিএফের মাত্রা দেখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বক ৩০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। ত্বকের ধরন স্বাভাবিক হলে এসপিএফ ৪০-ই যথেষ্ট। কিন্তু এখন রোদের তেজ মারাত্মক। এই অবস্থায় ট্যান এড়াতে ৫০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

২) ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া জরুরি। আপনার ত্বক স্বাভাবিক হলে যে কোনও ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বকে আপনি জেল, স্প্রে, স্টিক ইত্যাদি ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

৩) টিন্টেড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ঘাম কম হবে। নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ঘাম ও ব্রণর সমস্যা কমতে পারে।

৪) সানস্ক্রিন মাখার আগে তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এতে সানস্ক্রিনের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়। এভাবে সানস্ক্রিন মাখলে পণ্যটি রোমকূপের ভিতর ভাল করে প্রবেশ করে। এতে ত্বক শীতল থাকে এবং ঘাম কম হয়।

৫) রোদে বেরোনোর কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন মাখুন। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে ২-৩ অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন মাখুন। এতে ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।