
গরমে একাধিক শারীরিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। হজমের সমস্যা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পায়ে ক্র্যাম্প ধরা এসব সমস্যার সঙ্গে চোখ জ্বালা করা, মুখ জ্বালা করা, মুখ লাল হয়ে যাওয়া এসব লেগেই থাকে। এই বছর মাত্রাতিরিক্ত গরমে সকলেই নাজেহাল। যে ভাবে তাপপ্রবাহ চলছে তাতে রাস্তাতে বেরোনোই মুশকিল। তবুও কাজের প্রয়োজনে কিছু মানুষকে রোজই বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। যতই মুখ ধুয়ে ভাল করে সানস্ক্রিন লাগানো হোক না কেন দূষণ, ধুলোয় মুখের জফারফা হয়ে যায়। মুখ জ্বালা করে, চুলকোয়, সেই সঙ্গে লাল ব়্যাশে মুখ ভরে যায়। এবার গরমের দিনে মুখের অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলতে অনেকেই অ্যাস্ট্রিনজেন ব্যবহার করেন। দিনের পর দিন এই রাসায়নিকের ব্যবহার ত্বকের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এক্ষেত্রে কাজে লাগান ঘরোয়া এই সমস্ত টোটকা। মুখে জ্বালাভাব কমবে আর মুখ ঠান্ডা থাকবে।
প্রথমেই স্নানের জলে বরফ আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। এই জলে স্নান করলে গরমের দিনে আরাম পাবেন। এছাড়াও বালতির জলে হাফ কাপ কাঁচা দুধ আর গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা হবে, শুষ্ক ভাব দূর হবে এবং গরমের হাত থেকে শরীর রেহাই পাবে। যদি এই ব়্যাশ, ফুসকুড়ির সমস্যা বেশি হয় তাহলে মুখে বরফ ঘষে নিন। এছাড়াও জেল বেস সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, রোদে বেরনোর আগে মুখে কোনও গ্রিন টি সিরামও লাগাতে পারেন। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়। সানস্ক্রিনের থেকেও রোদে ভাল কাজ করে ভিটামিন সি সিরাম। এছাড়াও যে সব প্যাক বানিয়ে নেবেন-
সাদা চন্দন পাউডারের সঙ্গে কাঁচা হলুদ আর নিমপাথা থেঁতো করে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এবার ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে মুখ ঠান্ডা থাকবে আর জ্বালাপোড়া ভাবও কমে যাবে অনেকটা।
মুলতানি মাটি, গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। গরমের দিনে মুখ থাকবে ঠান্ডা।
অ্যালোভেরা জেলও এই ব়্যাশ কমাতে খুব কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল, টি ট্রি অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। এতে দ্রুত মুখ ঠান্ডা হবে।