
নয়াদিল্লি: বাড়ন্ত দূষণ, বেহিসাবী জীবনযাপন আর তার মধ্যে যদি ধূমপানের বদভ্যাস থাকে, তা হলে তো হয়েই গেল। সব মিলিয়ে চাপ পড়বে হার্টে। আর বর্তমানে বেশির ভাগ হার্টের রোগীর ‘ভোগার’ কারণও এই ঘটনাগুলি। এমনকি, সাম্প্রতিককালে পরপর হার্ট অ্য়াটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর যত ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের বয়স ৪০-এর নীচে। এত অল্প বয়সে হার্ট অ্য়াটাক কীভাবে? সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে বাড়তি বিপত্তি থেকে বাঁচার উপায় কী? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, উপায় রয়েছে। এই বিশ্বে এমন এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা হার্টকে চিরতরে সতেজ রাখতে পারে। যদিও সেই সকল উপাদান সাধারণের হাতের বাইরে। এই পরিস্থিতি কী করণীয়? পতঞ্জলি সেই ব্যবস্থাটা করে ফেলেছেন। সাধারণের হৃদয়ের খোঁজ রাখছে তারা।
তাদের একটি গবেষণা অনুযায়ী, হার্টের সমস্ত সমস্যা দূরীকরণে পথ দেখাতে পারে হৃদয়ামৃত ভাতী। অর্জুন গাছের ছাল, অশ্বগন্ধা, শঙ্খপুষ্পি, ব্রাহ্মী, পুষ্করমূল এবং জটামানসি-সহ একাধিক উপাদান নিয়ে এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হয়েছে। যা হার্টকে মজবুত করার ছাড়াও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এই ওষুধের মধ্যে থাকা অশ্বগন্ধা হার্টের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে শঙ্খপুষ্পি ও ব্রাহ্মী মানসিক শান্তি এবং ঘুম ভাল করে।
কীভাবে এই ওষুধ খেতে হয়? মাথায় রাখা প্রয়োজন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও মতেই এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার উচিত নয়। চিকিৎসক অনুমোদন দিলে, সাধারণ ভাবে প্রতিদিন ১ থেকে ২টি ট্যাবলেট সকালে ও সন্ধ্য়ায় গরম জলের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। আর এই ওষুধ যখন খাবেন, তখন ধূমপান ও মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।