অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর তিব্বত। সেই অবর্ণনীয় প্রাকৃতিক শোভা চাক্ষুষ করতে কার না মন চায়! কিন্তু, তিব্বতে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেটা যেমন খরচসাপেক্ষ, তেমনই সময়সাপেক্ষ। তবে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য, ওড়িশাতেই উপভোগ করতে পারেন তিব্বতের আমেজ। সমুদ্র, পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা এই রাজ্যকে মিনি তিব্বত বলা হয়।
ওড়িশার একটি সুন্দর শহর হল, চন্দ্রগিরি। গজপতি জেলায় অবস্থিত এই শহরটি জিরাং নামেও পরিচিত। এই শহরকেই ভারতের মিনি তিব্বত বলা হয়। এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে, জিরাংয়ের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তিব্বতি জনগোষ্ঠীর। তাই এখানে গেলে মনে হয় যেন তিব্বতে এসেছেন। এই কারণে এটি সমগ্র ওড়িশায় একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
এছাড়া পাহাড় ও অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত চন্দ্রগিরি। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রায় সারা বছরই বছর হাজার-হাজার পর্যটক এখানে আসেন। চন্দ্রগিরিতে সবুজের অভাব নেই, যা পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কারণ। শহরের কোলাহল থেকে দূরে পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত চন্দ্রগিরি। তাই শহুরে জীবন, কোলাহল থেকে দূরে শান্তির মধ্যে কয়েকটি দিন যাঁরা কাটাতে চান, তাঁদের কাছে খুবই পছন্দের চন্দ্রগিরি।
আবার চন্দ্রগিরির মহেন্দ্রগিরি পর্বত সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি ওড়িশার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারেস একে পবিত্র পর্বত বলা হয়। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, ভগবান পরশুরাম মহেন্দ্রগিরি পর্বতে ধ্যান করতেন। এই পর্বতটি বহু বিলুপ্ত প্রজাতির ঔষধি গাছের জন্যও পরিচিত।
অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি চন্দ্রগিরিতে অনেক ঐতিহাসিক বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। স্থানীয় মানুষের কাছে এই বৌদ্ধ বিহারগুলি স্বর্গের দ্বার। চন্দ্রগিরি বৌদ্ধ মঠের ভিতরে ভগবান বুদ্ধের প্রায় ২৩ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। তাই সবদিক থেকেই চন্দ্রগিরিকে ভারতের মিনি তিব্বত বলে খুব একটা ভুল হবে না।