
শুধু যে ডায়াবেটিস থাকলেই চিনিকে জীবন থেকে বাদ দিতে হবে, এমন নয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে সাদা চিনি ছুঁয়ে দেখা চলবে না। সাদা চিনির মধ্যে কোনও পুষ্টি নেই। বরং, চিনি যুক্ত খাবার খেলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো ক্রনিক অসুখে ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাদা চিনিকে হেঁশেলে থেকে বাদ দিয়ে ব্রাউন সুগার এনেছেন। কিন্তু এই ব্রাউন সুগার আদৌ কি উপকারী?
ব্রাউন সুগারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্কের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু এই পুষ্টিগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার ডায়েটের উপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না। বরং, ১০০ গ্রাম ব্রাউন সুগারের মধ্যে ৩৭৭ ক্যালোরি ও ৯৬.২১ গ্রাম চিনি রয়েছে, যা সাদা চিনির মতোই সমান। ব্রাউন সুগার খেলেও আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। গুড় থাকায় চিনির রং বাদামি হয়। এটি শুধুমাত্র খাবারে রং ও স্বাদ যোগ করে। আর খাবারটি আর্দ্রতা ধরে রাখে। এর বেশি খুব একটা উপকারিতা প্রদান করে না ব্রাউন সুগার।
চিনির মতো ব্রাউন সুগার খেলেও টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগের মতো ক্রনিক রোগ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিনির পরিবর্তে ব্রাউন সুগার না খাওয়াই ভাল। সাদা চিনি বাদ। ব্রাউন সুগারও চলবে না। তাহলে খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে কী মেশাবেন? সেই টিপসও রইল এখানে।
গুড়: ব্রাউন সুগারেও গুড় মেশানো থাকে। কিন্তু আপনি যদি ভেষজ গুড় বা জাগেরি পাউডার খাবারে ব্যবহার করেন, এটি বেশি উপকারী। কোনও রকম পরিশোধন ছাড়াই গুড় তৈরি হয়। তাই এর পুষ্টিগুণ ও দুটোই ভাল হয়।
কোকোনাট সুগার: নারকেলের শাঁস থেকে এই চিনি তৈরি হয়। তাই এই চিনিতে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাবেন। তাছাড়া কোকোনাট সুগারের গ্লাইসেমিক সূচক কম। তাই সুগার বেড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
খেজুর: তাজা হোক শুকনো, খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনে। তার সঙ্গে ফাইবার, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রদান করে। যে কোনও রান্নায় আপনি খেজুর ব্যবহার করতে পারেন।
মধু: রান্নায় ভেষজ মধু ব্যবহার করুন। চা-পানীয়তেও মধু ব্যবহার করা যায়। এটি খাবারকে মিষ্টি করে তোলে। তাছাড়া মধুর মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চিনি বা ব্রাউন সুগারের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।