
সুন্দর গন্ধের পারফিউম কিনতে গেলে কয়েক শ’টাকা খরচ করতে হয়। দামী ব্র্যান্ডের সুগন্ধি কিনতে গেলে কম করে হাজার খানেক টাকা ব্যয় করতেই হয়। যাঁদের পারফিউমের কালেকশন রাখার নেশা রয়েছে, তাঁদের কাছে ওই কয়েক হাজার কিছুই নয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, পারফিউম স্প্রে করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গন্ধ মিলিয়ে গেল। যতই নামীদামি ব্র্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করুন, একই সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় ভুল উপায়ে পারফিউম ব্যবহারের ফলে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
দীর্ঘক্ষন গন্ধ টিকিয়ে রাখার জন্য ডিয়ো বা পারফিউম সরাসরি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে কাজও হয় দুর্দান্ত। কিন্তু ত্বকের উপর সরাসরি সুগন্ধি প্রয়োগ করার ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়, তা কি জানেন? যত দামীই পারফিউম হোক না কেন, ত্বকের উপর সরাসরি সুগন্ধি প্রয়োগ করা কখনওই ভাল অভ্যাস নয়। এর জেরে ত্বকে কী-কী ক্ষতি হতে পারে, জেনে নিন।
১) যে কোনও সুগন্ধিতেও এসেনশিয়াল অয়েল ও অ্যালকোহলের মিশ্রণ থাকে। অনেক পারফিউমে রাসায়নিক পণ্যও থাকে। এগুলো ত্বকের সংস্পর্শে এসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এমনকি ত্বকের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
২) ডিওডোরেন্টের মধ্যে অ্যালকোহল থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এর জেরে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় ডিওডোরেন্টের মধ্যে নিউরোটক্সিন স্নায়ুতন্ত্রের উপরও প্রভাব ফেলে।
৩) যে সব ডিওডোরেন্টের মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম, ইথাইল অ্যালকোহল, phthalates (এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান যা ক্যানসারের জন্য দায়ী)-এর মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
৪) ত্বকের উপর সরাসরি ডিওডোরেন্ট প্রয়োগের ফলে, সেখানে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে ঘা, র্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) সুগন্ধির মধ্যে এমন অনেক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যার জেরে ত্বক ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ত্বকের উপর সরাসরি পারফিউম স্প্রে করা উচিত নয়। জামাকাপড়ের উপর প্রয়োগ করুন। একান্তই যদি ত্বকের উপর সুগন্ধু লাগাতে চান, প্রথমে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তারপর পারফিউম স্প্রে করুন।