উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভাসলেও দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম। দু’দিন ধরে আকাশ মেঘলা হয়ে থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। আর এই গরমে ঘেমে-নেয়ে একশা হচ্ছেন সকলে। অফিসে ঢুকে কিংবা বাড়ি ফিরেই মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিচ্ছেন। মুখে-চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলে শারীরিক অস্বস্তি কাটে। ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুলে ফ্রেশ লাগে। কিন্তু মুখে বারবার ঠান্ডা জল ব্যবহার করা কি উচিত? এতে ত্বকের স্বাস্থ্য কি ভাল থাকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকের যত্ন নিতে গেলে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করা দরকার। আর এটা যদি ঠান্ডা জল দিয়ে করেন, বেশি উপকার মেলে। ত্বকের যত্নে কখনওই গরম জল ব্যবহার করা উচিত নয়। গরম জল ত্বককে রুক্ষ ও সংবেদনশীল করে তোলে। বরং ঠান্ডা জলই ত্বকের জন্য উপকারী। তবে, সেরা নয়।
ঘুম থেকে উঠে সবসময় মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। এতে মুখ ও চোখের ফোলাভাব সহজেই কমে যাবে। পাশাপাশি ঘুমও কেটে যাবে চোখের পাতা থেকে। আপনি তরতাজা বোধ করবেন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এতে ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। এতে সহজেই র্যাশ, লালচে ভাব, চুলকানির মতো সমস্যা এড়াতে পারবেন। ব্রণ প্রতিরোধের সাহায্য করে ঠান্ডা জল। শুষ্ক ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী ঠান্ডা জল। ঠান্ডা জল রোমকূপের মুখ সংকুচিত করে দেয়। এর জেরে সিবাম কম নির্গত হয়। গরমে তেলতেলে ত্বক ও ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা জল দিয়েই মুখ পরিষ্কার করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম জল ব্যবহারের চেয়ে ঠান্ডা জলই ত্বকের জন্য ভাল। কিন্তু অনেক সময় ঠান্ডা জলও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ঠান্ডা জল রোমকূপের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। এর জেরে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়বে। রোমকূপের মুখ ফুলে হোয়াইটহেডসের সমস্যা বাড়তে পারে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আপনি ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করেন। গরমকালেও ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক সুন্দর থাকে।