
ভাতের শেষে টক দই খান, এই অভ্যাস ভাল নাকি খারাপ?Image Credit source: Pinterest
বাংলার ঘরে ঘরে একটা চেনা দৃশ্য কমবেশি দেখা যায়, গরম ভাত খাওয়ার শেষে পাতে আসে টক দই। হলই বা এক-দু’চামচ, কারও কাছে এটি পেট ঠান্ডা করার উপায়, তো কারও কাছে আবার খাওয়ার পূর্ণতা। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভাত খাওয়ার শেষে টক দই (Sour Curd) খাওয়া সত্যিই কি শরীরের জন্য উপকারী, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে কিছু সমস্যা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জেনে নেওয়া যাক ভাতের শেষে টক দই খাওয়ার ভাল দিক কী কী—
- হজমে সাহায্য করে – টক দইয়ের মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক যে কোনও খাবার ভাঙতে সুবিধা করে।
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে – ভাতের শেষে টক দই খেলে সেই ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কম থাকে বা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- পুষ্টিগুণে ভরপুর – টক দইয়ে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও প্রোটিন ভরপুর। যা শরীর মজবুত করতে সাহায্য করে।
- অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে – টক দই খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বাড়ায় – নিয়মিত অল্প পরিমাণে টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
এ বার জেনে নেওয়া যাক কখন টক দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত —
- অতিরিক্ত টক দই ক্ষতিকর – কোনও খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে টক খাওয়া ভাল। বেশি টক দই খেয়ে ফেললে পেট জ্বালা, অম্বল এবং গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে।
- রাতে খেলে সমস্যা – রাতে ভাত খাওয়ার শেষে যদি কেউ টক দই খান, তা হলে সর্দি–কাশি বা শ্বাসকষ্ট বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
- আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য নয় – টক খাবার প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে আর্থ্রাইটিস রয়েছে এমন রোগীরা পারলে টক দই এড়িয়ে যাবেন।
- ডায়রিয়া – বেশি টক দই খেলে যে কারও হজমের গোলমাল হতে পারে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণে টক দই খেলে অনেক সময় টক টক স্বাদ পাওয়া যায় মুখে।
বিশেষজ্ঞরা যার ফলে বলেন, দিনের বেলায় অল্প পরিমাণ টক দই ভাতের শেষে খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু রাতে এটি খাওয়া বেশি ভাল নয়। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত টক দই না খাওয়া ভাল।