Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জুস না স্মুদি, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী? শুনুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রায়শই মানুষের মনে প্রশ্ন আসে যে, জুস নাকি স্মুদি কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন আসে, তা হলে জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

জুস না স্মুদি, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী? শুনুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জুস না স্মুদি, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী? শুনুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা Image Credit source: Canva
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2025 | 6:40 PM

সারাদিন ব্যস্ততার মাঝে আজকাল মানুষ নিজের প্রতি মনোযোগ দিতেই ভুলে গেছে। এই কারণে অনেক মানুষ অল্প বয়সে মারাত্মক রোগের কবলে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যে কারও জীবনে ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তন এনে নিজেকে সুস্থ এবং ফিট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এটা বলে থাকেন যে, ব্যস্ততার কারণে নিজেদের জন্য সময় বের করতে পারছেন না। এই সকল কথা বললে শরীর তো বুঝতে পারবে না। হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনাই বাড়বে। কাই একটি সুষম ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, যে খাবার খাচ্ছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী সেদিকেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও, অনেকে খাবারের সঙ্গে জুস বা স্মুদি পান করে থাকেন। শরীরে কোনটির কেমন প্রভাব পড়ে?

অনেকের মনে প্রায়ই এই প্রশ্ন আসে যে, জুস ও স্মুদির মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী। এই প্রশ্নের উত্তরে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডঃ কিরণ গুপ্ত জানিয়েছেন, জুস এবং স্মুদি দুটোই স্বাস্থ্যকর পানীয়। তবে স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে স্মুদি বেশি উপকারী। তিনি বলেন, “স্মুদিতে যদি চিনি ও লবণ ব্যবহার না করেন, তা হলে এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।”

নিম্নে উল্লেখ করা হল স্মুদি পান করার উপকারিতা

এই খবরটিও পড়ুন

ফাইবারের পরিমাণ: জুস তৈরি করার জন্য কেবল ফল বা সবজির রস বের করা হয়, যা এর ফাইবার কমিয়ে দেয়। আর স্মুদিতে গোটা ফল বা সবজির মিশ্রণ থাকে, যা ফাইবারের পরিমাণ ঠিক থাকে। স্মুদিতে ফাইবার বেশি থাকার কারণে তা পাকস্থলীর জন্য ভালো এবং হজমেও সাহায্য করে।

প্রচুর পুষ্টিগুণ: জুস পান করলে শরীরে দ্রুত শক্তি জোগান দেয়। কিন্তু খোসাতেও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। জুসের ক্ষেত্রে খোসা বাদ দেওয়া হয়, তাই তাতে পুষ্টি কমে যায়। অনেক সময় ফল এবং সবজি খোসা সহ স্মুদিতে ব্যবহার করা হয়। যাতে শরীর সব পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: স্মুদিতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। যা ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছেকে বাড়ায় না। এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। জুস দ্রুত হজম হয় এবং দ্রুত খিদে পায়। যা বেশি ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি বাড়ায়।

রক্তে শর্করার উপর প্রভাব: রসে শুধুমাত্র তরল থাকে, যা রক্তে দ্রুত চিনি শোষণ করে এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি স্মুদিতে থাকা ফাইবারের কারণে চিনি ধীরে ধীরে শোষিত হয়, যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্মুদি বেশি উপকারী।

হাইড্রেশন ও সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি: জুসে বেশি পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং দ্রুত শক্তি জোগায়। গরমে তাৎক্ষণিক সতেজ হতে চাইলে জুস একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আর স্মুদি ধীরে ধীরে শক্তি নিঃসরণ করে, যা দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।