প্যাকেজিং সুন্দর। প্যাকেটের গায়ে মধুর গুণাগুণও লেখা আছে। আর দামও বেশ ভালই। ব্র্যান্ডেড কোম্পানির মধু। এসব দেখে কিনে ফেললেন। কিন্তু মধু আদৌ খাঁটি কি না বুঝবেন কীভাবে? আজকাল বাজারে অনেক খাদ্যসামগ্রী ভেজাল বিক্রি হয়। এসব ভেজাল খাবারই শরীরে নানা রোগ ডেকে আনে। আর মধুর গুণাগুণ অনেক। খাঁটি মধু না খেলে তারও উপকার পাবেন না। তাই খাঁটি মধু কীভাবে চিনবেন, জেনে নিন।
মধু প্রধানত দু’ধরনের হয়। প্রাকৃতিক ও চাষের। মৌমাছির মৌচাক থেকে সরাসরি মধু সংগ্রহ করা হয় সেটা হল প্রাকৃতিক। কাঠের বাক্সে মৌমাছি পুষে যে মধু সংগ্রহ করা হয় সেটা হল চাষের মধু। অনেক সময় মধুর কৌটোতে চিনিও থাকে। সুতরাং, খাঁটি মধু যাচাই না করে কেনা উচিত নয়। সাধারণত স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ দিয়েই মধুর বিশুদ্ধতা যাচাই করা হয়। কিন্তু সেটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে কীভাবে বুঝবেন মধু খাঁটি না ভেজাল? রইল টিপস।
১) এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মধু যদি জলে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়ে যায়, বুঝবেন ভেজাল রয়েছে। খাঁটি মধু কখনওই জলে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হবে না।
২) একটি কাগজে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলুন। কাগজ যদি মধু শুষে নেয় বুঝবেন এতে ভেজাল রয়েছে। খাঁটি মধু কাগজে ফেলা সত্ত্বেও কোনও পরিবর্তন হবে না। যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।
৩) আঙুলে মধু নিয়ে দেখুন চ্যাটচ্যাট করছে কি না। চ্যাটচ্যাট ভাব দেখা দিলে বুঝবেন মধু খাঁটি আছে। কিন্তু মধু যদি পাতলা হয় হয় জ্যালজ্যাল করে, বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো আছে।
৪) এক ছোট পাত্রে মধু নিয়ে মাইক্রোওভেনে ৩০ সেকেন্ডের জন্য গরম করে নিন। মধু খাঁটি হলে গরম করার পর আরও গাঢ় হয়ে যাবে এবং ক্যারামেলের গন্ধ বেরোবে। কিন্তু মধু থেকে যদি বুদবুদ উঠতে থাকে কিংবা পুড়ে যায়, বুঝবেন এটি ভেজাল।
৫) খাঁটি মধু বছরের পর বছর রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। অনেকটা ঘন স্ফটিকের মতো হয়ে যায়। কিন্তু মধুতে যদি ভেজাল থাকে, তাহলে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে এবং পাতলা তরল হয়ে যাবে। তখনই বুঝবেন যে এই মধু আর খাওয়ার যোগ্য নেই।