Indian Railways: ট্রেনে এই কাজ করলে কোন ভয়ানক বিপদে পড়তে পারেন জানেন?
Indian Railways: অনেক সময়ে যাত্রীরা দেরি হয়ে গেলে বা ট্রেন মিস করলেও অনেকে লঘু কারণে ট্রেনের এমারজেন্সি চেইন টেনে ফেলেন। কেউ কেউ আবার মশকরা করেও চেইন টেনে থাকেন। অকারণে বা যথাযথ কারণ ছাড়া চেইন টানলে কী হয় জানেন?

ভারতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন। সকলের হয়তো খেয়াল করেছেন প্রত্যেক কামড়াতে সিটগুলির ফাঁকে ফাঁকে একটি করে চেইন থাকে। এমারজেন্সি চেইন বলে পরিচিত আমাদের কাছে। হঠাৎ কোনও বিপদ ঘটলে ওই চেইন টেনে ট্রেন থামানো যায়। গার্ড বা চালককেও জানানো যায়।
অনেক সময়ে যাত্রীরা দেরি হয়ে গেলে বা ট্রেন মিস করলেও অনেকে লঘু কারণে ট্রেনের এমারজেন্সি চেইন টেনে ফেলেন। কেউ কেউ আবার মশকরা করেও চেইন টেনে থাকেন। অকারণে বা যথাযথ কারণ ছাড়া চেইন টানলে কী হয় জানেন?
রেলওয়ে আইন অনুসারে, ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের ১৪১ ধারা অধীনে, বৈধ কারণ ছাড়া জরুরি চেইন টানা একটি গুরুতর অপরাধ। এর জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা উভয় সাজা হতে পারে। এই শাস্তি কেবল আইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে ট্রেন দেরিতে পৌঁছোয়। অন্যান্য ট্রেনের সময়সূচীর উপর প্রভাব পড়ে এবং শত শত যাত্রীর উপরে তার প্রভাব পড়ে। তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে শিকল টানা উচিত?
আইন বলছে –
১. চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগলে।
২. যদি কোনও প্রতিবন্ধী বা বয়স্ক নাগরিক ট্রেনে ওঠার আগে ট্রেনটি শুরু হয়।
৩. যদি কোন শিশু ভুলবশত প্ল্যাটফর্মে পড়ে যায়।
৪. হঠাৎ কোনও গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে।
৫. চুরির মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে। আপনি আপতকালীন চেইন টানতে পারেন।
রেল প্রশাসন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে যে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছোতে হবে। দেরির কারণে চেইন টেনে ফেলা কোনও বিকল্প হওয়া উচিত নয়। যাত্রীদের চেইন ব্যবহারের নিয়মগুলি বোঝা উচিত। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্টেশন এবং কোচগুলিতে তথ্য বোর্ড, পোস্টার এবং ঘোষণার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে।





