Deep Learning in Medical Imaging: মেডিক্যাল ইমেজিং-এ দিশা কেন গুরুত্বপূর্ণ ডিপ লার্নিং? শেখাবে আইআইটি খড়্গপুর
Deep Learning in Medical Imaging: এখন সর্বত্রই AI-এর রমরমা। চিকিৎসাশাস্ত্রেও তাই। প্রতিদিন AI-কে কাজে লাগিয়ে চলছে উন্নতি সাধনের চেষ্টা। এই বিশ্লেষণ আরও দ্রুত ও নিখুঁত করতে সাহায্য করছে ডিপ লার্নিং নামক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক প্রযুক্তি।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে মেডিকেল ইমেজিং ও ডিপ লার্নিং এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড প্রভৃতি ইমেজিং প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসকরা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কোথায় কী ঘটছে তা খুব সহজে অনুধাবণ করতে পারেন। সেই সব ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। এই বিশ্লেষণ আরও দ্রুত ও নিখুঁত করতে সাহায্য করছে ডিপ লার্নিং নামক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক প্রযুক্তি। আসলে এখন সর্বত্রই AI-এর রমরমা। চিকিৎসাশাস্ত্রেও তাই। প্রতিদিন AI-কে কাজে লাগিয়ে চলছে উন্নতি সাধনের চেষ্টা।
কী এই ডিপ লার্নিং?
ডিপ লার্নিং হল একটি মেশিন লার্নিং পদ্ধতি যা নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বড় মাত্রার ডেটা বিশ্লেষণ করে। চিকিৎসাক্ষেত্রে, ইমেজ থেকে টিউমার, ইনফ্লামেশন, ফ্র্যাকচার বা অন্যান্য অসংগতি সনাক্ত করতে এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। যেমন, ফুসফুসে ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ এমআরআই ইমেজ থেকে ডিপ লার্নিং মডেল অনেক সময় মানবচক্ষুর আগেই নির্ধারণ করতে পারে।
এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র রোগ নির্ণয়েই নয়, রোগের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি এবং রোগীর পুনর্বাসন পর্যবেক্ষণেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসকরা আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন এবং রোগীর জন্য উন্নত মানের পরিষেবা নিশ্চিত হচ্ছে দিন দিন।
ভারতের মতো জনবহুল দেশে, যেখানে দক্ষ রেডিওলজিস্টের সংখ্যা সীমিত, সেখানে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি স্বাস্থ্যসেবাকে আরও গণমুখী করে তুলছে।
তবে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, মান নিয়ন্ত্রণ, এবং চিকিৎসকের ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্তের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই ব্যবহার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি মানুষের কাছে সঠিক ভাবে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়্গপুর।
প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তরফে এই কোর্স করানো হবে। প্রতিষ্ঠানের কলকাতার ক্যাম্পাসে ‘সামার স্কুল ২০২৫’ কর্মসূচির অধীনে এই বিষয়টি নিয়ে চলবে কোর্স।
কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান শাখার বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পাবেন। চাইলে এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত পেশায় রয়েছেন এমন কোনও ব্যক্তিও আবেদন করতে পারবেন।
আল্ট্রাসাউন্ড ফিজিক্স, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড ট্রান্সডিউসার্স, ডিপ লার্নিং ফর বিম ফর্মিং, জিয়োমেট্রি অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টেশন অফ সিটি মেশিন সহ নানা বিষয়ে শেখানো হবে। একই সঙ্গে হাতেকলমে বিভিন্ন যন্ত্র এবং সামগ্রী ব্যবহারের কৌশলও শেখানো হবে। থাকবে ইন্টার্নশিপের সুযোগও।
৩০ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত হবে ক্লাস। আইআইটি খড়্গপুরের কলকাতার ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার জন্য স্নাতকদের ৪,১৩০ টাকা, স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত কিংবা পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি প্রাপ্তদের ৫,৩১০ টাকা, ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের ৭,০৮০ টাকা এবং কর্মরত ব্যক্তিদের ১১,৮০০ টাকা কোর্স ফি হিসাবে জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল।





