গোলাপি ঠোঁট কার না পছন্দ! কিন্তু, অনেকেরই ঠোঁটে কালচে দাগের সৃষ্টি হয়, যাকে হাইপারপিগমেন্টেশন বলে। এটা ঠোঁটের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। যার প্রভাব পড়ে মুখের সৌন্দর্যেও। আসলে মেলানিন বেড়ে গেলে ঠোঁট এবং চারপাশের ত্বক কালো হয়ে যায়। এই সমস্যার অন্যতম কারণ সূর্যালোক, দূষণ, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া, খাবারে অ্যালার্জি, অতিরিক্ত ধূমপান ইত্যাদি। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কীভাবে আপনি ঠোঁটের পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পাবেন জেনে নিন
এক্সফোলিয়েট- প্রতিদিন বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে ত্বক থেকে ঠোঁট ধুলোবালি ও দূষণের সংস্পর্শে আসে। অনেকেই রাসায়নিকযুক্ত বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। এর ফলে ঠোঁটে ত্বকের মৃত কোষ জমতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মৃদু স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন। চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরেই স্ক্রাব প্যাক তৈরি করতে পারেন। চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, মধু আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে।
লিপ বাম ব্যবহার করুন- যদি আপনার ঠোঁটে পিগমেন্টেশন থাকে, তাহলে প্রতিদিন লিপস্টিক না লাগিয়ে প্রাকৃতিক লিপবাম ব্যবহার করুন, যাতে আপনার ঠোঁট শুষ্ক না হয়ে যায়। এছাড়া এমন একটি লিপবাম নেওয়ার চেষ্টা করুন যা শুধু আপনার ঠোঁটের জন্যই উপযুক্ত নয়, ত্বককে সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। এ ছাড়া ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করতে প্রতি রাতে শিয়া বাটার, নারকেল তেলের মতো ময়শ্চারাইজ জিনিস ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের রং পরিষ্কার করতে এই প্যাকটি লাগান- ঠোঁটের রং ঠিক রাখতে গ্লিসারিনে কয়েকটা জাফরান মিশিয়ে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই মিশ্রণটি কয়েক ঘণ্টা রাখুন। এটি নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যেই বদল দেখতে পাবেন।
প্রচুর জল খান- ঠিকমতো জল পান না করা কেবল স্বাস্থ্যের উপরই খারাপ প্রভাব ফেলে না, এটা ত্বক, চুল, নখ, চোখ ইত্যাদিরও ক্ষতি করে। তাই ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
এগুলি ডায়েটে রাখুন- ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর, বিট, বেদানা, লেবুল রাখুন। এছাড়া ধূমপান, জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।