
পুদিনা পাতার (Mint Leaves) নাম শুনলে অনেকের একটা ঠান্ডা অনুভূতির কথা মাথায় আসে। নানা পানীয়তে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। যার ফলে সেই পানীয় আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে পুদিনা পাতা শুধু খেলেই কাজ হবে না। এ বার থেকে মুখে মাখুন পুদিনা পাতা। মিলবে ভালো ফল। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ত্বকের যত্নে কাজ করে পুদিনা পাতা।
ব্রণ-ট্যান, চুলের খুশকি-শুষ্ক ভাব এই সকল সমস্যায় পড়ছেন আপনিও? তা হলে এ বার সঠিক উপায়ে মুখে মাখুন পুদিনা পাতা। এই পাতা রূপচর্চায় খুব কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ঠান্ডা-শীতল প্রভাব। যা ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার রূপচর্চায় ব্যবহার নিম্নে আলোচনা করা হল —
১. পিম্পল ও ব্রণ দূর করতে পুদিনা পাতা বেটে রস বের করে সরাসরি ব্রণের ওপর লাগান। অথবা, বাটা পুদিনা ও সামান্য চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান। এর ফলে জীবাণু কমে, ব্রণের লালচে ভাব ও ফোলা কমে যায়।
২. ত্বক টোনিং ও তাজা রাখতে পুদিনা রসে গোলাপ জল মিশিয়ে একটি ফেস মিস্ট বানাতে পারেন। তা ফ্রিজে রেখে দিনে ২ বার স্প্রে করলে ত্বক ফ্রেশ ও টানটান লাগে।
৩. ট্যান বা গরমে ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা বাটার সঙ্গে দই মিশিয়ে মুখে লাগাত পারেন। এটা করলে ঠান্ডা অনুভূতি মেলে, ত্বকের জ্বালা ও রোদে পোড়াভাব কমে যায়।
৪. ত্বকের দাগ ও কালো ছোপ কমাতে পুদিনা রসের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। সঙ্গে দাগ হালকা হবে।
উল্লেখ্য, ত্বক ছাড়া চুলের যত্নেও পুদিনা পাতা বিরাট কার্যকরী। পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে সেই জল ঠান্ডা করে মাথায় ঢালুন বা চুলে লাগান। তা হলে খুশকি কমে, মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকে ও চুল উজ্জ্বল হয়।