
প্রচণ্ড দাবদাহ আর প্যাচপ্যাচে ঘামের মধ্যে কোথাও গিয়ে স্বস্তি হয় না। তাই বর্ষা আসার সঙ্গে-সঙ্গেই বেশিরভাগ মানুষ বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অনেকেই বর্ষার পাহাড় দেখতে পছন্দ করেন। এর জন্য ছুটে যান উত্তরাখণ্ডের সুন্দর উপত্যকায়। কিন্তু, সেখানে যাওয়া যেমন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তেমনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয় রয়েছে। তাই ৩-৪ দিনের ছুটিতে ঘরের কাছে, দার্জিলিঙের কাছের এই জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। লেক এবং পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গা বর্ষায় আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
দার্জিলিং মূলত নিজস্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং চা বাগানের জন্য বিখ্যাত। দার্জিলিং থেকে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য চোখ ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু, আজকাল খুব ধস নামছে। তাই নিরাপদ স্থান হিসাবে বর্ষায় মিরিক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের দারুণ স্থান হতে পারে। এর সৌন্দর্য মুন্নার বা নৈনিতালের থেকে খুব একটা কম নয়।
মিরিকের সৌন্দর্য আশ্চর্যজনক
মিরিক লেপচা শব্দ মির ইয়ক থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থান। মিরিক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭৬৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং এটি একটি খুব সুন্দর পর্যটন স্থান। এখানকার সুন্দর চা বাগান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশ আপনাকে প্রথম দর্শনেই মুগ্ধ করবে। বললে ভুল হবে না যে, এখানে যাওয়ার পর আর ফিরে আসতে ভাল লাগবে না।
মিরিকের আকর্ষণ
মিরিকের সুন্দর চা বাগানের সবুজতা আপনার চোখকে আরাম দেবে। এখানে লেকের পাড়ে বসে সামনের উঁচু পাহাড় ও চা বাগান দেখতে-দেখতে এক অনাবিল শান্তি অনুভব করতে পারবেন। এই লেকে বোটিংও উপভোগ করা যায়।
কীভাবে মিরিক পৌঁছাবেন?
যদি হাতে সময় খুব কম থাকে তাহলে আপনি বিমানপথে মিরিক যেতে পারেন। এই পথে প্রথমে বাগডোগরা পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে ট্যাক্সি বুকিং করে মিরিক পৌঁছাতে পারেন। অথবা আপনি একটি বাইক ভাড়া করে পাহাড়ের সুন্দর উপত্যকা উপভোগ করতে-করতে মিরিক আসতে পারেন। নয়তো ট্রেনে বা বাসে এনজেপি চলে আসুন। সেখান থেকে বাস, ট্যাক্সি এবং শেয়ার গাড়ি রয়েছে। মিরিকে অনেক হোটেল থাকলেও পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাই আগে থেকে হোটেল বুকিং করা থাকলে কোনও অসুবিধায় পড়তে হবে না।