রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। আর জামাইষষ্ঠীতে মটন ছাড়া যেন জমে না! যদিও কলকাতার বাজারে মটনের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি। অনেক জায়গায় ৮৫০-৯০০ টাকাও দাম উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়েছে শ্বশুরমশাইদের। তবে এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশে ১ হাজার টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে মটনের দাম। কিন্তু, পাকিস্তানে মটনের দাম শুনলে কার্যত চোখ কপালে উঠবে!
প্রতিবেশী দেশ, পাকিস্তানে বছর খানেক ধরেই মূল্যবৃদ্ধি চলছে। স্বাভাবিকভাবেই যে সমস্ত দ্রব্যের চাহিদা বেশি, সেগুলির দাম আকাশছোঁয়া। বিফের পাশাপাশি পাকিস্তানে মটন খুবই জনপ্রিয়। ফলে দামও একেবারে আকাশছোঁয়া।
পাকিস্তানের এক অনলাইন পোর্টাল অনুযায়ী, মটনের দাম উঠেছে কেজি প্রতি প্রায় ৩০০০ PKR (২,৯১০ PKR ওরফে পাকিস্তানি মুদ্রা)। তবে মটনের পিসের প্রকার অনুযায়ী দাম আলাদা। যেমন, ৪৫০ গ্রাম মটন ল্যাম্বের দাম ১৩৭০ টাকা, ৫০০ গ্রাম মটন কিমা ১৩৫০ টাকা, ৪ পিস লেগ পিসের দাম ১৩৯০ টাকা, আবার হাড়বিহীন মটনের দাম ১৭০০ টাকা কেজি।
যদিও পাকিস্তানি মুদ্রার দাম ভারতীয় মুদ্রার তুলনায় কম। যেমন, ২,৯১০ PKR ভারতীয় মুদ্রায় ৮৬২ টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে তুলনা করলে পাকিস্তানে মটনের দাম প্রায় ৩ গুণ বেশি। যা মধ্যবিত্তদের কাছে প্রায় দুষ্প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে নতুন সরকার গড়ার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশোছোঁয়া হয়েছিল। বলা ভাল, রান্নার গ্যাস থেকে আটা-ময়দা, এমনকি জল পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছিল। বালুচিস্তান-সহ অনেক জায়গায় তো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি অবশ্য অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও অনেক জিনিসের দামই আকাশছোঁয়া।