
আজকাল ফিটনেসের জগতে নিত্যনতুন ট্রেন্ড আসছে। আর বহু মানুষ সেগুলো অনুসরণও করে চলেছেন। সম্প্রতি একটি নতুন ট্রেন্ড এসেছে, নো অয়েল ডায়েট। এই ডায়েটের নাম থেকেই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এটি অনুসরণ করলে তেল ছাড়া খাবার খেতে হয়। ভারতীয় বাড়িতে তেল-মশলাদার খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়। ভারতীয় মানুষ তেল ছাড়া খাবারের স্বাদ খুব একটা পছন্দ করে না। যদিও তেল আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কিন্তু শরীরের আবার কিছু পরিমাণে তেল প্রয়োজনও। এই পরিস্থিতিতে কেউ এক মাস তেল ছাড়া খাবার খেলে তাঁর শরীরে কী ঘটে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন জেনে নেওয়া যাক।
যদি একজন ব্যক্তি ১ মাস ধরে তেল ছাড়া খাবার খান, তা হলে তাঁর শরীরের উপর যে প্রভাব পড়ে তা নিয়ে পুষ্টিবিদ শিখা শর্মা বিস্তারিত জানিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক তিনি এই বিষয়ে কী কী বলেছেন। পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্তা বলেন, “যে দুই ধরণের তেল আছে, একটি আমরা প্রাকৃতিক জিনিস থেকে পাই। অপরটি পরিশোধিত তেল। কিছু প্রাকৃতিক জিনিস থেকে যেমন বাদাম, চিনাবাদাম এবং আখরোট থেকে তেল মেলে। আপনি যদি প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খান এবং এমনকি ১ মাস ধরে পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করে দেন, তা হলে শরীরে কোনও বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। কারণ এই প্রাকৃতিক তেল শরীরের তেলের চাহিদা পূরণ করে, যা শরীরের জন্যও উপকারী।
১ মাসের জন্য তেল ছেড়ে দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? বিশেষজ্ঞদের মতে, এক মাসের জন্য তেল ছাড়া খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক নয়। এক সপ্তাহের জন্য তেল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে প্রথমে দেখতে পারেন। তবে সেটা এক মাস হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কারণ শরীরের সীমিত পরিমাণে চর্বি প্রয়োজন, যা পূরণ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
এক মাস খাবারে তেল ব্যবহার বন্ধ রাখার অসুবিধা কী?
পুষ্টিবিদ শিখা শর্মা বলেন, “যদি কেউ তার খাদ্যতালিকা থেকে প্রাকৃতিক এবং পরিশোধিত তেল উভয়ই বাদ দেন, তা হলে তার শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের মস্তিষ্কের কোষ, ত্বক, হরমোনের জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের দরকার। কিন্তু যখন কোনও ব্যক্তি তেল খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন, তখন শরীর আবার আলাদা মোডে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকে বলিরেখা, চুল পড়া, শরীরে শুষ্কতা। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই এক মাস তেল ছাড়া খাবার খাওয়া ঠিক নয়।”