
রোজ এক বাটি করে ওটমিল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে কোলেস্টেরল কোনও লাইফস্টাইল ডিজ়িজই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। আর যদি ওটমিল মুখে মাখেন, দূরে থাকবে ত্বকের সমস্যা। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপযোগী ওটস। তার সঙ্গে একজিমা, ব্রণ, র্যাশের সমস্যা দূর করে ওটস। শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী ওটস। ওটস ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং ব্রণর সমস্যা দূর করে। ওটসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে এবং মরা চামড়া দূর করে। ত্বকের উপর কীভাবে ওটস ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
ব্রণ দূর করুন: ওটমিলের মধ্যে জিঙ্ক রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। সমপরিমাণ ওটস ও জল একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য: ওটস প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। ওটসের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি নেই। স্নানের জলে ওটমিল ও বেকিং সোডা মিশিয়ে দিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ওই জল দিয়ে ভাল করে স্নান করে নিন।
ব্ল্যাকহেডস দূর করে: ওটসের মধ্যে স্যাপোনিন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা ত্বককে প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করে দেয়। ওটস রোমকূপ মুখ পরিষ্কার করে ব্ল্যাকহেডস দূর করে দেয়। ২ চামচ ওটসের সঙ্গে ৩ চামচ টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা হাতে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
চুলকানি দূর করে: ত্বকের প্রদাহ বাড়লে এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। ওটস ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ত্বকের অস্বস্তি দূর করে। ওটস গুঁড়ো করে নিন। এতে জল দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করে নিন।
এক্সফোলিয়েট করে: ত্বকের সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। ওটসকে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। জলের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।