ডিসেম্বর মাস মানেই বেড়াতে যাওয়ার সময়। অন্যান্য বছর হলে সেই কবে থেকে পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। তলিতল্পা গুটিয়ে কয়েকদিনের জন্য হইহই করে কোথাও থেকে ঘুরে আসা। সঙ্গে পিকনিক, পার্টির ভরপুর মজা নেওয়া।
তবে এবারের সবচেয়ে বড় বাধা নভেল করোনাভাইরাস। কোভিড আতঙ্কে শীতের মরশুমে পর্যটন ব্যবসায় ব্যাপক মন্দা হবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন ট্র্যাভেল এজেন্সি, হোটেল মালিকরা। কিন্তু সমীক্ষা তা বলছে না। বরং দেশের প্রথম সারির অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর তরফে জানানো হয়েছে যে আগের মাসগুলোর তুলনায় ডিসেম্বরে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ‘হলিডে বুকিং’ বেড়েছে। বছরের শেষ কয়েকটা দিন কিংবা নতুন বছরের শুরুর কিছুদিন এবং ক্রিসমাসের সময় ছুটি কাটাতে বাইরে যাবেন বলে বেছে নিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
আরও পড়ুন- পিকনিকের প্ল্যান করছেন? কলকাতার কাছে এই সব জায়গা বেছে নিতে পারেন
গোয়া, মহাবালেশ্বর, পন্ডিচেরি, কুর্গ, সিমলা এবং মানালির জন্য প্রচুর পর্যটক বুকিং করেছেন। অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, ভারতের মধ্যে এইসব জায়গার চাহিদা এখন তুঙ্গে। এর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ট্রিপের জন্য ভ্রমণ প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দুবাই আর মালদ্বীপ।
মেকমাইট্রিপ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিসমাস এবং নতুন বছর আসার আগে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে বুকিং। দুবাই আর মালদ্বীপে যেতে চাইছেন অনেকেই। ডোমেস্টিক ডেস্টিনেশনের ক্ষেত্রেও ট্রেনের বদলে ফ্লাইটের বুকিংয়ের সংখ্যাই বেড়েছে। অন্যদিকে যাত্রা.কম-এর তরফে জানানো হয়েছে ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে যাওয়ার পর্যটকের সংখ্যা বেশি। আর নিউ ইয়ার্স ইভ-এ হিড়িক পড়েছে গোয়া, উদয়পুর এবং উটি যাওয়ার।
ইজিমাইট্রিপ-এর তরফে জানানো হয়েছে অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে হলিডে প্যাকেজের বুকিং বেড়েছিল ৩ থেকে ৪ শতাংশ। তবে অক্টোবরের তুলনায় ডিসেম্বরে বুকিংয়ের সঙ্গে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি-গোয়া, মুম্বই-গোয়া এবং বেঙ্গালুরু-গোয়া এই তিনটিই ব্যস্ততম ডোমেস্টিক রুট থাকবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুবাই রুটের ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। ডোমেস্টিক ডেস্টিনেশনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক বিমান সংস্থাই ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য ভাড়া কমিয়ে দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমেছে প্লেনের টিকিটের দাম। ‘ইক্সিগো’-র তরফে বছর শেষে দারুণ অফার চলছে। সব ফ্লাইট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বুকিং ক্যানসেল হলে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফুল রিফান্ড পাওয়া যাবে। এটা ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।