
মাঘের শীত গায়ে মেখে ফের শুরু বিয়ের মরশুম। মকর সংক্রান্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে বিয়েবাড়ি। বিয়ে এখন একটা বড় ইন্ডাস্ট্রি। এই বিয়েকে ঘিরে প্রচুর মানুষের রুটিরুজি থাকে। আর বিয়ের প্ল্যানিং এখন শুরু হয়ে যায় এক বছর আগে থেকে। কেনাকাটা, অনুষ্ঠান বাড়ি বুক করা, কেটারার, ফটোগ্রাফি, মেকআপ সব মিলিয়ে থাকে সে এক এলাহি আয়োজন। বিয়ের অনুষ্ঠানও এখন নিছক কম নয়। টানা ৪-৫ দিন ধরে চলে সেই সব অনুষ্ঠান। এই প্রতিটা মুহূর্ত সকলেই চান ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে। পরে সুন্দর অ্যালবাম তৈরি তো হবেই। যে কোনও মানুষের জীবনেই বিয়ে বড় একটা সিদ্ধান্ত। বিয়ের প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠান সারা বছর মনে থেকে যায়। আর তাই এই দিনগুলো ফ্রেমবন্দি করে রাখতে ভুলবেন না।
নিজের বাড়ি, নিজের পরিবেশ নিজের মানুষ ছেড়ে অন্য বাড়িতে যাওয়া- খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েদের মন খারাপ থাকে। যতই আগে থেকে চেনা শোনা থাক না কেন কিংবা যদি না-ও থাকে তাহলেও মেয়েদের মনে অজানা আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই সঙ্গে কিছু ভয় তো থাকেই। সব সময় সবটা মনের মত হয় না। খুব কম ক্ষেত্রেই তা হয়। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেক বদলে।
বৌভাতের দিন সব বাড়িতেই থাকে বধূবরণের অনুষ্ঠান। নিজের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে আসার পর প্রথম অনুষ্ঠান। এদিন সকালে থাকে ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান। সুন্দর করে সাজানো ভাতের থালা, শাড়ি নতুন বৌয়ের হাতে তুলে দেয় বর। তারপর বাড়ির সদস্যদের পাতে ঘি ভাত বা পায়েস দিয়ে হয় এই অনুষ্ঠানের সূচনা। এর সঙ্গে আরও নানা কাজ তো থাকেই। বন্ধুদেরও নিমন্ত্রণ থাকে এমন দিনে। ভাবছেন বন্ধুর এই বিশেষ দিনে কেমন শাড়ি পরবেন আপনি? একদম হালকা হ্যান্ডলুমের শাড়ি বাছুন। বা পাতলা কোনও সিল্কও বেছে নিতে পারেন। হালকা কাজল, কানের দুল- ব্যাস এর পরে আর কোনও কিছুরই প্রয়োজন পড়ে না। শুধুই যে শাড়ি পরতে হবে এমন নয় অন্য কোনও পোশাকও কিন্তু বেছে নিতে পারেন। দুপুরের অনুষ্ঠানে হালকা শাড়ি পরলে তার সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। এতে দেখতে লাগবে খুবই ভাল। মন থেকে হাসি খুশি থাকুন, এমনিইভাল লাগবে।