
শীতকাল এলেই বাজারে পাওয়া যায় টাটকা ফুলকপি (Cauliflower)। আর সেই ফুলকপি দিয়ে নানা পদ বানানো যায়। কখনও ফুলকপি আলুর তরকারি, কখনও আবার ফুলকপির রোস্ট— এ সব তো অনেকেই বাড়িতে বানান। এ বার সাধারণ আলু-ফুলকপি তরকারি ভুলে যান, বাড়িতে সহজে বানিয়ে নিন ফুলকপির ডালনা। একেবারে ভাতের সেরা সঙ্গী! নরম ফুলকপি, ঘন ঝোল আর মশলার ঘ্রাণ— সব মিলিয়ে এই ডালনা শীতের দুপুরকে করে তোলে আরও উষ্ণ আর মজাদার।
ফুলকপি ১টি (মাঝারি, টুকরো করে কাটা), আলু ২টি (চৌকো করে কাটা), টমেটো ১টি (কুচি করা), পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মশলা হাফ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, জিরে ১ চা চামচ, নুন পরিমাণমতো, চিনি হাফ চা চামচ, সর্ষের তেল পরিমাণমতো।
ফুলকপি টুকরোগুলো হালকা গরম জলে হলুদ দিয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। জল ঝরিয়ে সর্ষের তেলে হালকা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এতে গন্ধ কমে ও স্বাদ বাড়ে।
একই কড়াইতে আলু ভেজে হালকা লালচে করে নিন। আলু-ফুলকপি ভাজা থাকলে ডালনার ঘ্রাণ আলাদা হয়।
কড়াইতে আরও একটু তেল দিয়ে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না রঙ বদলায়।
আদা-রসুন বাটা, হলুদ, লাল লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো দিয়ে কষতে থাকুন। এ বার টমেটো দিন। তা নরম হয়ে গেলে বুঝবেন মশলা কষা হয়েছে।
ভাজা আলু ও ফুলকপি দিয়ে মশলার সঙ্গে ভাল ভাবে নেড়ে কষে নিন। এতে মশলা সবজির মধ্যে ঢুকে যাবে।
পরিমাণমতো গরম জল দিন। নুন, চিনি ঠিক করে দিন। ঢেকে দিন ১০ মিনিট। এ বার ফুলকপি নরম হলেই বুঝবেন ডালনা তৈরি হয়ে এসেছে।
শেষে সামান্য গরম মশলা ছড়িয়ে দিন। চাইলে উপর দিয়ে এক ফোঁটা ঘি দিলে ঘ্রাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
গরম ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে ফুলকপির ডালনা… এ যেন শীতের আসল সুখ। ঘরোয়া অথচ লোভনীয় এই রান্না একবার বানালে বুঝতে পারবেন, সহজ উপকরণ দিয়েও কতটা সুস্বাদু পদ তৈরি হতে পারে। এই শীতে আপনার রান্নাঘরেও যেন ভেসে বেড়ায় ফুলকপির ডালনার মায়াবী গন্ধ!