স্কুল কিংবা কলেজ শেষ হলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার তেমন কোনও সুযোগ থাকে না। সে যতই এক শহরে থাকা হোক না কেন। কাজের প্রয়োজন আর ব্যস্ততা এতটাই থাকে যে কোনও সময় পাওয়া যায় না। বন্ধুদের সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা দেওয়ার মত ভাল আর কোনও কিছুই হতে পারে না। সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি দূর করতে বন্ধুদের সঙ্গে আ়ড্ডা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক কমে গিয়েছে, কারণ বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর ব্যস্ততা। মাঝেমধ্যে নিজেদের পুরনো দিনগুলো ফিরে দেখতে বেশ লাগে। এই স্কুল আর কলেজ জীবন একবার পেরিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। এই সময়ের বন্ধুরা আজীবন থেকে যায়, অফিসে যে বন্ধু হয় না একথা সকলেই জানেন। বসন্তের এই পলাশ রাঙা দুপুর গুলো খুবই নস্ট্যালজিক। আর বসন্তের এমন দুপুরে অবুঝ বয়সের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেশ লাগে।
এমন দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে লাঞ্চ ডেটের প্ল্যান? বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে আড্ডা-খাওয়াদাওয়া যেমন হবে তেমনই কিন্তু ছবিও তোলা হবে। আর তাই পোশাক বাছাই ভীষণ জরুরি। বসন্ত রঙের মাস, প্রকৃতি রঙিন ফুলে সেজে থাকে তেমনই সামনেই বসন্ত উৎসব। আর সঙ্গে গরমও জাঁকিয়ে পড়েছে। তাই এমন পোশাক বাছুন যাতে আপনি নিজে আরাম বোধ করবেন। স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরতে পারেন। স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে হ্যান্ডলুমের শাড়ি, শিফন জর্জেট এসব দেখতেও লাগে বেশ। আবার একদম হালকা স্ট্রাউপ প্রিন্টের শার্ট স্টাইল ফ্রকও পরতে পারেন। এমন পোশাক যেমন আরামদায়ক তেমনই ফ্যান্সি। দেখতেও লাগে খুব ভাল। সঙ্গে ছবিও উঠবে দুর্দান্ত। আর তাই বসন্তের দিনে ফুরফুরে মেজাজে সেজে উঠুন। মেকআপ কিন্তু ভুল করেও বেশি করবেন না। মুখ পরিষ্কার করে সুন্দর করে একটু কাজল পরুন। ঠোঁটে থাক হালকা লিপস্টিক। এতেই দেখতে লাগবে খাসা।
গরমের দিনে যে পোশাকে নিজে সবচাইতে বেশি আরাম বোধ করবেন তেমনই পোশাক বেছে নিতে হবে। এই সময় ত্বক রোদে অনেক বেশি পুড়ে যায়। তাই বাইরে বেরোলে চেষ্টা করবেন যে ফুলস্লিভ জামা পরার।