
শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোম কারও খুব একটা পছন্দের নয়। তাই সেই লোম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই রেজ়ারের ব্যবহার করেন। যদিও সমস্যা হল এই রেজ়ার ব্যবহার সকলের ত্বকে সহ্য হয় না। কারও অ্যালার্জি দেখা যায়। কারও কারও ত্বক আবার হয়ে যায় খসখসে, রুক্ষ। চুলকানিও শুরু হতে পারে। এর প্রধান কারণ শেভ করার সময় ত্বকের প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এদিকে সামনেই পুজো। তার আগে ত্বকের অতিরিক্ত লোম থেকে মুক্তি চাই। সেই ক্ষেত্রে যদি ত্বকে আবার অবাঞ্ছিত র্যাশ জুড়ে বসে তখন মুশকিল। যদিও কিছু টোটকা মেনে চললে রেজ়ার ব্যবহার করলেও কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি যাঁদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তাঁদের ক্ষেত্রেও খুব একটা সমস্যা হবে না। রইল সেই টিপস।
১. শেভ করার আগে সরাসরি শুকনো ত্বকে রেজ়ার ব্যবহার করলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই প্রথমে কুসুম গরম জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন অথবা কয়েক মিনিট ভেজা তোয়ালে চেপে রাখুন। এতে লোম নরম হবে এবং ব্লেড সহজে চলবে। চাইলে হালকা ময়েশ্চারাইজিং শেভিং জেল বা ফোম ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘর্ষণ কমাবে এবং ত্বককে ভাল রাখবে।
২. অনেক সময় পুরনো ও ভোঁতা ব্লেড ব্যবহারের কারণে ত্বকে টান পড়ে এবং জ্বালাভাব বাড়ে। প্রতিবার শেভ করার আগে নিশ্চিত করুন ব্লেড পরিষ্কার এবং ধারালো। জং পড়েছে কিনা দেখে নিন। নাহলে সেপ্টিক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। একই রেজ়ার দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। এতে জীবাণু জমে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. শেভ করার সময় অনেকেই লোমের উল্টো দিকে রেজ়ার চালান, এতে লোম সহজে উঠে এলেও ত্বকে ঘর্ষণ বেশি হয় এবং রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই সবসময় লোম ওঠার দিকেই শেভ করুন। এতে কাটাছেঁড়া ও খসখসে ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
৪. শেভ করার পর ত্বকের লোমকূপ খোলা থাকে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল ছিটিয়ে নিন, এতে লোমকূপ সঙ্কুচিত হবে। এরপর অ্যালোভেরা জেল, মৃদু ময়েশ্চারাইজার বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এগুলি ত্বককে শান্ত করবে, আর্দ্র রাখবে এবং খসখসে ভাব দূর করবে।
৫. শেভ করার কয়েকদিন পর মৃত কোষ জমে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত ১–২ দিন হালকা স্ক্রাবার দিয়ে এক্সফোলিয়েশন করুন। এটি মৃত কোষ দূর করবে ও ত্বক মসৃণ রাখবে। পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যাতে ত্বক ভেতর থেকে আর্দ্র থাকে।