১৪৪ বছর পরে বিরল যোগ। তাই তো ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ ঘিরে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রচুর ভিড়। বিভিন্ন আখড়ায় জমায়েক হয়েছে একাধিক সাধু সন্তরা। দেশ-বিদেশ থেকে এসেছেন বহু সাধু, সন্ন্যাসীরা। নজর কেড়েছেন বহু বাবা, সাধুরা। ৩ ফুট ৪ইঞ্চির বাবা থেকে এসেছেন ৭ ফুটের ‘মডেল’ বাবা। আইআইটি বাবার চর্চা তো ইতিমধ্যেই চারিদিকে। সাত ফুট লম্বা, পেশিবহুল বাবাকে নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। জানেন কি মহাকুম্ভে এমন বাবাও এসেছিলেন যিনি হার মানাবেন সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়িকেও। ভাবছেন তা কী করে সম্ভব? কীভাবেই বা বাপ্পি লাহিড়িকে হার মানাবেন তিনি।
মহাকুম্ভের এই বাবা যে বড় গাইয়ে তেমনটা একেবারেই নয়। এই বাবা আবার ‘সোনা’ প্রেমী। ঠিক যেমন ‘সোনা’ প্রেমী ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। ২০২২ সালে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ির। যিনি সোনার গয়না পরতে খুবই ভালবাসতেন। তেমনই এই বাবাকে দেখেও মনে হচ্ছে সোনার গয়না তারও খুব প্রিয়। মহাকুম্ভের গোল্ডেন বাবা নামেই ভাইরাল হয়েছেন তিনি। যার শরীরের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সোনায় মোড়া। দু’হাতের দশ আঙুলে মোটা মোটা সোনার আংটি।
গলায় বড় বড় সোনার হার, কানের দুল। India Today’র রিপোর্ট অনুযায়ী মোট ৬ কোটির সোনার গয়না ছিল তাঁর শরীরে। ৬৭ বছরের এই সাধুর নাম এসকে নারায়ণ গিরিজি মহারাজ। তাঁর গয়নার কালেকশন যা সত্যিই বাপ্পি লাহিড়িকে হার মানাবে। তথ্য অনুযায়ী, গায়কের কাছে মোট সোনা ছিল ৭৫৪ গ্রাম। সে সময়ের বাজারদর অনুযায়ী যার মূল্য ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৯০ টাকা। ১৮ জানুয়ারি ২০২৫-এ যার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৯ লক্ষ ২৯ হাজার ২৯৯ টাকা। অর্থাত্ মহাকুম্ভের ‘গোল্ডেন বাবা’ যে গায়ক বাপ্পি লাহিড়িকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন সে কথা বল যেতেই পারে।