তীব্র গরমে র্যাশ-চুলকানি-অ্যালার্জি কিংবা ঘামাচির সমস্যা? এইসব থেকে রেহাই পেতে কী কী করবেন
র্যাশ-চুলকানি-অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। রোজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই গরমেও আপনার এইসব সমস্যা দেখা দেবে না। একনজরে দেখে নিন কী কী করবেন।
গরমকালে বিভিন্ন রকম র্যাশ-চুলকানি কিংবা অ্যালার্জি সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সেই সঙ্গে উপদ্রব শুরু হয় ঘামাচির। রোদে বেরোলেই সমস্যা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে যাঁরা একটু বেশি ঘামেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা আরও বেশি। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের অংশে ঘাম জমে সমস্যা দেখা দেয়। রাস্তাঘাটে চুলকানির জন্য বেশ সমস্যায় পড়তে হয় অনেককেই।
তবে এইসব র্যাশ-চুলকানি-অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। রোজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই গরমেও আপনার এইসব সমস্যা দেখা দেবে না। একনজরে দেখে নিন কী কী করবেন।
১। দিনে অন্তত দু’বার ভাল করে স্নান করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে অবশ্যই পরিষ্কার জলে স্নান করবেন। সামান্য গরম জল মিশিয়ে স্নান করলে শরীর একদম ফ্রেশ লাগবে।
২। স্নানের সময় সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। যদি র্যাশ, ঘামাচি, অ্যালার্জি বা চুলকানি হয়, একেবারেই তেল ব্যবহার করবেন না।
৩। স্নানের জলে সামান্য বডি কোলন মিশিয়ে স্নান করুন। বাইরে বেরোলে অতি অবশ্যই সঙ্গে সুতির রুমাল রাখুন। তার মধ্যেই বডি কোলন দিয়ে রাখুন। এছাড়া এসেনসিয়াল অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ঘেমে গেলে ওই রুমাল দিয়ে মুখ-গলা-ঘাড় মুছে নিলে আরাম লাগবে। স্নানের জলেও মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনসিয়াল অয়েল।
৪। যেসব জায়গায় বেশি ঘাম জমে, যেমন বগল বা আন্ডারআর্ম, থাইয়ের ভাঁজ, কুচকি… এইসব জায়গা স্নানের সময় ভাল করে পরিষ্কার করুন। যাঁদের অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁরা বাইরে বেরোলে পাউডার ব্যবহার করুন।
৫। যদি র্যাশ, অ্যালার্জি, ঘামাচি বা চুলকানি হয়, তাহলে সেই অংশে বরফ ঘষতে পারেন। আরাম এবং উপকার দুইই পাবেন।
৬। প্রতিদিন আলাদা জামাকাপড় পরুন। ঘামে ভেজা পোশাক দু’বার না পরাই শ্রেয়। মহিলা এবং পুরুষ উভয়েই প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন।
এইসব নিয়ম মেনে চললেই দেখবেন গরমকালেও র্যাশ, চুলকানি, ঘামাচি, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন আপনি।