
ওজন কমানো বিষয়টা যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে তেমনটা নয়। ধৈর্য্যে ধরে চ্যালেঞ্জ নিতে পারলে সাকসেস আসবেই। মূল কথা হলো ধৈর্য ধরে নিয়মিত থেকে এগিয়ে চলা। যা করে দেখিয়েছেন সিমরান পুনিয়া। পেশায় একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। প্রতিদিনের জীবনধারা ক্যাপচার করে তুলে ধরেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ওজন কমানোর যাত্রাও প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে ‘nonuphile’ নামে পরিচিত সিমরান একটি ভিডিয়ো রিল-এ জানান, তাঁর ওজন ছিল ১৩০ কেজি। যা কমিয়ে নিয়ে এসেছেন প্রায় ৬০-৬৩ কেজির মধ্যে। কী ভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন?
সিমরান লেখেন, “আমি মূলত কার্ডিও করেছি। যখন আমি ১৩০ কেজি ছিলাম, তখন অনেকটা হাঁটা খুব কঠিন ছিল। প্রথম দিনে আমি মাত্র ৭০০ মিটার হাঁটতে পেরেছিলাম এবং খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরের দিন ১ কিমি হাঁটতে পেরেছিলাম। ধীরে ধীরে ছোট ছোট পদক্ষেপ এবং ধারাবাহিকতাই আসল। তাছারা এত ভারী অবস্থায় দৌড়ানো বা জগিং করা হাঁটুর জন্য ভালো নয়।”
তিনি আরও জানান, আগে তিনি হাঁটা বা দৌড়ানো একদম পছন্দ করতেন না, কিন্তু এখন তাঁর নতুন ফিটনেস রুটিনে তিনি পুরোপুরি মুগ্ধ।
সিমরান জানান, “এটা একদিনে বা একমাসে হবে না। মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছরও লাগতে পারে! তাই কেবল ধৈর্য্য রাখো এবং প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস রাখো। ছোট ছোট পদক্ষেপ নাও। এটা দৌড় নয়, এটা একটা ম্যারাথন। অসম্ভব মনে হলেও অর্জন সম্ভব। সহজ হবে না, কঠিন হবে, কিন্তু যা করার দরকার তা করতেই হবে। ধীরে শুরু করো, প্রতিদিন একটু করে নিজেকে এগিয়ে দাও, কেবল ধারাবাহিক থেকো। ”
কার্ডিওভাসকুলার বা অ্যারোবিক ব্যায়াম, যেমন দৌড়, হাঁটা, সাঁতার কাটা বা দড়ি লাফানো — এগুলো খুব ভালো বলে জানান সিমরান।
সিমরান জানান তিনি নিজের যাত্রা ভাগ করে নিচ্ছেন। তিনি বারবার উল্লেখ করেন, তিনি কাউকে পরামর্শ দিচ্ছেন না বা ওজন কমানোর কোনও পণ্য বিক্রি করছেন না। এটি শুধুই তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং তাঁর শরীরে কীভাবে কাজ করেছে, তা তুলে ধরা।
প্রতিটা মানুষের ওজন কমানোর যাত্রা আলাদা, যা একজনের জন্য কাজ করে, তা অন্যের জন্য নাও করতে পারে।