
দিনে দু’বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন। রাতে নিয়ম করে নাইট ক্রিম মেখে ঘুমোতে যান। সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাব ব্যবহার করেন। আর মাসে একবার ফেসিয়াল করান। অথচ, রোদে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখতে ভুলে যান। ত্বকের হাজার যত্ন নেওয়ার পর যদি সানস্ক্রিন না মাখেন, তাহলে সব কিছু জলে। হাজার টাকা খরচ করে ত্বকের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না। সানস্ক্রিন ত্বকের উপর ঢাল হিসেবে কাজ করে।
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। এমনকি স্কিন ক্যানসারও ডেকে আনতে পারে। এক্ষেত্রে সানস্ক্রিনই আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। তাই রোদে বেরোনোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। যদি দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হয়, তাহলে সঙ্গে সানস্ক্রিন নিয়ে বেরোন। ৩-৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুনরায় সানস্ক্রিন মাখুন। কিন্তু সানস্ক্রিনের এসপিএফ কম হলেই মুশকিল।
সানস্ক্রিনের প্যাকেটের গায়ে এসপিএফ ৩০, ৫০, কখনও বা ১৫ লেখা থাকে। ১৫ থেকে শুরু করে ১০০ পর্যন্ত এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না তাঁর ত্বকের জন্য কত এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার। এসপিএফ-এর মাত্রা যত বেশি হবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু সবার ত্বকের জন্য সব ধরনের সানস্ক্রিন নয়। আপনার ত্বকের জন্য কোন এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন সেরা, বুঝবেন কীভাবে?
এসপিএফ ১৫ ত্বককে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখলে ত্বক ৯৫ শতাংশ সুরক্ষিত থাকে। ৯৮ শতাংশ সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন। সুতরাং, এসপিএফ-এর মাত্রা যত বেশি হবে ত্বক তত সুরক্ষিত। আপনি কতক্ষণ রোদে থাকছেন, সেই বুঝে সানস্ক্রিন বেছে নিন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ীও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। তবে, সবচেয়ে ভাল হয় যদি এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। গ্রীষ্মকালে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এই অবস্থায় ত্বকে এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। কিছু ক্ষেত্রে আপনি এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে, এসপিএফ-এর মাত্রা যত বেশিই হোক না কেন, এটি ৪-৫ ঘণ্টার বেশি সুরক্ষা দেয় না।