
আজকাল যেন প্রায় সারা বছর বৃষ্টি। তার উপর আবার ভাদ্র মাস। একে বৃষ্টি তায় দোসর হল প্যাচপ্যাচে ঘাম। বিশেষ করে আমাদের এখানকার যা আবহাওয়া তাতে ঘাম হওয়া বন্ধ হয় না কোনও ভাবেই। এদিকে ঘাম বসে বসে কারও ঠান্ডা লাগছে, ঘামের জমে হচ্ছে ত্বকের সমস্যা, ব্রণ আবার এই ঘামের জন্য বাড়ছে দুর্গন্ধের সমস্যা। কিন্তু আপনি কি জানেন যতই গরম পড়ুক আর যতই কষ্ট হোক না কেন, শরীরের একটি অংশে কখনও ঘাম হয় না। সেটি কোন অঙ্গ?
এমনিতে আমাদের শরীরের প্রায় সর্বত্র রয়েছে ঘাম গ্রন্থি। যা থেকে গরমে অনরগল ঘাম বের হয়। কারও ঘাম হয় অত্যন্ত বেশি। কারও আবার ঘাম তুলনায় কম হয়। এই ঘাম শরীরে দুর্গন্ধের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে শীতকালে পায়ের ঘামের কারণে কারও কারও অত্যন্ত দুর্গন্ধ হয়। কারও গলায় ঘাম বেশি হয়, কারও হাতে আবার কারও পায়ে ঘাম বেশি হয়। কিন্তু শরীরের একটি অঙ্গ আছে যেখানে কোনও রকম ঘাম হয় না।
কোন অঙ্গে হয় না ঘাম?
উত্তরটি হল ঠোঁট। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও আমাদের ঠোঁটে কোনও রকম ঘাম হয় না। কিন্তু কেন এরকম হয়? কেন কোনও ঘাম হয় না আমাদের ঠোঁটে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আসলে সারা শরীরে ত্বকে ঘাম গ্রন্থি থাকে। সেখান থেকেই টক্সিন ঘামের আকারে বেরিয়ে আসে। যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঠোঁটে কোনও রকম ঘাম গ্রন্থি থাকে না। সেই কারণে আমাদের ঠোঁটে কোনও ঘাম হয় না।
ঘাম তৈরি হয় ঘাম গ্রন্থি থেকে, যা ত্বকের গভীর স্তর অর্থাৎ ডার্মিসে (dermis) ছড়িয়ে থাকে। এই গ্রন্থির আছে বেশ কিছু ভাগ।
এক্রিন গ্রন্থি (Eccrine glands) – এগুলি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ঘাম গ্রন্থি। মূলত শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে।
অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি (Apocrine glands) – এই গ্রন্থিগুলো মূলত লোমকূপের (hair follicles) সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং বগল ও কুঁচকির মতো জায়গায় পাওয়া যায়। এদের উৎপন্ন ঘাম থেকেই শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।