
Skin Care Tips: হেঁশেলের এই হাফডজন জিনিস ভুল করেও মুখে লাগাবেন না, ত্বক জ্বলে-পুড়ে বাজবে বারোটাImage Credit source: Unsplash
বহুযুগ ধরে রূপচর্চায় হলুদ, নারকেল তেল, নিমপাতা, অ্যালোভেরার মতো উপাদানের ব্যবহার চলে আসছে। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি অনেকে নানা ভাবে ব্যবহার করেন। প্রতিটি ব্যক্তির বাড়ির হেঁশেলেই থাকে এমন কিছু জিনিস, যা ত্বকে, চুলে লাগালে ভাল ফল মেলে। কিন্তু বেশ কয়েকটি উপাদান রান্নাঘরে এমনও রয়েছে, যা ত্বকে মাখা যায় না। মাখলেই বাজে বারোটা। সেগুলো জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- বেসন, দই, দুধ, হলুদের মতো উপাদান অবশ্যই ত্বকের যত্নে কাজে লাগে। কিন্তু এগুলো ছাড়াও এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো ত্বকে মাখা ঠিক নয়। তেমনই এক উপাদান চালের গুঁড়ি। অনেকেই চালের গুঁড়ি মাখেন। এটা মাখা উচিত নয়।
- ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে হলুদকে সেই অর্থে অন্যরা টেক্কা দিতে পারে না। কিন্তু ভুল করেও গোলমরিচ, ধনে, লঙ্কা গুঁড়োর মতো মশলা ত্বকে প্রয়োগ করবেন না। এর ফলে ত্বকের প্রদাহ বেড়ে যাবে।
- লেবু ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। রোজের খাদ্যতালিকায় বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। কিন্তু ভুল করেও ত্বকে সরাসরি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের রস মাখবেন না। আরও ভাল করে বললে লেবুর রস মাখা যাবে না। এতে কিন্তু ত্বকের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
- কেউ কেউ ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করেন। কিন্তু সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি ভাল নয়। স্পর্শকাতর ত্বক হলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মাখা ভাল ময়। তাতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
- বেকিং সোডা অনেক কিছু পরিষ্কার করতে পারেন। অনেকেই বডি স্ক্রাব হিসেবে বেকিং সোডা ব্যবহারও করেন। কিন্তু এই উপাদান ত্বকে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি দাগছোপ, ফুসকুড়ির মতো নানা সমস্যা বাড়তে পারে।
- অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল ত্বকে মাখা চলে। তাতে নানা উপকারও মেলে। বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় সর্ষের তেলও ত্বকে মাখতে পারেন। কিন্তু সাদা তেল বা যে সকল তেল দিয়ে রান্না করা হয়, তা মুখে মাখা ভাল নয়। ত্বকের যত্নের খাতে ফেসিয়াল অয়েল বা বডি অয়েলই ভাল, রান্নার তেল নয়।