Drinks for Winter: শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখার সেরা উপায়, এই ৭টি পানীয় খেলেই ঠান্ডা লেজ গুটিয়ে পালাবে

সাধারণ চা-কফির বাইরেও এমন কিছু পানীয় আছে, যা শীতকালে যে কারও শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পানীয়গুলির প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের জন্য উষ্ণতা সৃষ্টিকারী এনার্জি সরবরাহ করে।

Drinks for Winter: শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখার সেরা উপায়, এই ৭টি পানীয় খেলেই ঠান্ডা লেজ গুটিয়ে পালাবে
শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখার সেরা উপায়, এই ৭টি পানীয় খেলেই ঠান্ডা লেজ গুটিয়ে পালাবেImage Credit source: DjelicS/E+/Getty Images

Nov 01, 2025 | 5:06 PM

শীতকালে (Winter) ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সঠিক পানীয় নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ চা-কফির বাইরেও এমন কিছু পানীয় আছে, যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পানীয়গুলির প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের জন্য উষ্ণতা সৃষ্টিকারী এনার্জি সরবরাহ করে।

১) আদা চা বা আদা জল

আদার মধ্যে থাকা উষ্ণ উপাদান রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এই পানীয় পান করলে সর্দি-কাশি কমে, হজমশক্তি বাড়ে এবং সারা দিন সতেজ রাখে।

২) হলুদ দুধ

হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের অভ্যন্তরের প্রদাহ কমায় ও তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আর গরম দুধ আরাম দেয়। এই পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, গলা ব্যথা উপশম করে এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে।

৩) মশলা চা

এতে ব্যবহৃত গরম মশলা (যেমন- দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ) মেটাবলিজমকে সাময়িকভাবে বাড়িয়ে শরীরে উষ্ণতা সৃষ্টি করে। এই পানীয় খুসখুসে কাশি দূর করে এবং শরীরকে চনমনে রাখে।

৪) লেবু ও মধু জল

মধু একটি প্রাকৃতিক উষ্ণতা সৃষ্টিকারী উপাদান। গরম জলের সঙ্গে মিশে এটি শরীরকে আরাম দেয়। ভিটামিন সি সরবরাহ করে ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায় এবং শক্তি দেয়।

৫) স্যুপ (গরম সবজির/চিকেনের)

গরম স্যুপ সরাসরি পেটে গিয়ে তাৎক্ষণিক উষ্ণতা দেয়। এটি তরল হওয়ায় হাইড্রেটেড রাখে। এই পানীয় শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৬) কাশ্মীরি স্টাইলের কাওয়া

এই ঐতিহ্যবাহী পানীয়টিতে জাফরান, দারচিনি ও বাদাম থাকার কারণে তা শরীরে দ্রুত উষ্ণ করে। এটি ইমিউনিটি বাড়ায় এবং শীতকালে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

৭) হালকা গরম জল

এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। গরম জল পান করলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।