
দিনভর ব্যস্ততার শেষে শরীর যখন ক্লান্ত, আর মন যখন অস্থির, সেই সময় ঘুম হলেও সেটা গভীর হয় না। ভাল ঘুম হলেই পরের দিনে নিজেকে তরতাজা লাগে। সারা দিন ভাল কাটানোর শক্তি মেলে। শুধু জীবনযাত্রার অভ্যাস নয়, শোওয়ার আগে সঠিক পানীয় বেছে নিলেও ঘুমের মান অনেকটা বদলে যেতে পারে। চলুন দেখে নিই ঘরে থাকা কিছু সহজ জিনিস দিয়ে বানানো কিছু পানীয়, যেগুলো রাতের ঘুম করবে গাঢ়। এবং পরের দিন শুরু করতে পারবেন একেবারে ফ্রেশ হয়ে।
ছেলেবেলা থেকেই বড়দের আমরা বলতে শুনি, রাতে গরম দুধ খেলে ঘুম ভাল হয়। এর পেছনে কারণ হল দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান ও মেলাটোনিন। এগুলো মস্তিষ্কে সেরোটোনিন বাড়িয়ে ঘুমের সিগন্যাল পাঠায়। চাইলে সামান্য মধু বা এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা আরও বাড়ে।
হার্বাল চায়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ক্যামোমাইল। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যাপিজেনিন নামক উপাদান সরাসরি মস্তিষ্ককে শান্ত করে, উদ্বেগ কমায়। নিয়মিত শোওয়ার আধঘণ্টা আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করলে অনিদ্রার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।
কলা শুধু এনার্জি দেয় না, এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম পেশি শিথিল করে। রাতে হালকা গরম দুধের সঙ্গে কলা ব্লেন্ড করে তৈরি করুন এক গ্লাস স্মুদি। যা একদিকে শরীরকে আরাম দেবে, হজমেও সাহায্য করবে, আর ঘুম আসবে সহজেই।
ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণ যেমন মন শান্ত করে, তেমনই এর চাও ভাল ঘুম হতে সমানভাবে কার্যকর। একইভাবে লেমন বাম টি স্নায়ুকে রিল্যাক্স করে, মানসিক চাপ কমায়। যারা বেশি টেনশনে ভোগেন, তাদের জন্য এই হার্বাল টি হতে পারে একেবারে আদর্শ সঙ্গী।
নারকেলের জলে থাকে ইলেক্ট্রোলাইট ও ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করে ও আরাম দেয়। শোওয়ার আগে এক গ্লাস নারকেলের জলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীর শান্ত হয় আর ঘুম গভীর হয়।
রাতে চা, কফি বা কোলা জাতীয় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খাবেন না। অতিরিক্ত চিনি মেশানো পানীয়ও ঘুম নষ্ট করতে পারে।