
রান্নাঘরের নানা মশলা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, সেগুলি ত্বকের যত্নেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মশলা ব্যবহার করে ত্বকের সমস্যা নিরাময়ের প্রথা রয়েছে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এইসব মশলা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে, ব্রণ কমাতে, এমনকি বার্ধক্যের ছাপও কমাতে সাহায্য করে। জেনে নিন তেমন ৫ মশলার কথা, যা ত্বকের জেল্লা ফেরাতে পারে।
ত্বকের যত্নে কার্যকরী ৫ মশলা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল —
১) হলুদ
গুণাগুণ: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি।
উপকারিতা: ব্রণ, কালো দাগ-ছোপ কমায়, ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুধ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
২) দারুচিনি
গুণাগুণ: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধিকারী।
উপকারিতা: ব্রণ দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন।
৩) মেথি
গুণাগুণ: ভিটামিন সি ও লেসিথিন সমৃদ্ধ।
উপকারিতা: ত্বক ময়শ্চারাইজ করে, কালো দাগ কমায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? মেথি রাতে ভিজিয়ে রেখে, তা বেটে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।
৪) লবঙ্গ
গুণাগুণ: ইউজেনল সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক।
উপকারিতা: ব্রণ ও ত্বকের ইনফেকশন দূর করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? লবঙ্গ গুঁড়ো ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।
৫) জিরে
গুণাগুণ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
উপকারিতা: ত্বকের টক্সিন দূর করে, সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়া কমায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? জিরে সেদ্ধ জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন বা পেস্ট তৈরি করে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
মাথায় রাখবেন – মুখে এই উপরিল্লিখিত মশলা লাগানোর আগে একটি প্যাচ টেস্ট করতে পারেন। তাতে জ্বলুনি হচ্ছে কি না বুঝতে পারবেন। মশলার পেস্ট দীর্ঘ সময় মুখে লাগিয়ে রেখে দেবেন না, ৫-১০ মিনিটই যথেষ্ট।