কম বয়সে এই সব কাজ করছেন? চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে জীবনের! চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়

Healthy Life: এই গবেষণার জন্য, গবেষকরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিনিশ শহরের প্রায় ৩৭০ জন বাসিন্দাকে নিয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। ২৭, ৩৬, ৪২, ৫০ এবং ৬১ বছর বয়সীদের দীর্ঘ দিনে পর্যবেক্ষণে রেখে নানা চিকিৎসা পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

কম বয়সে এই সব কাজ করছেন? চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে জীবনের! চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়

Apr 27, 2025 | 7:17 PM

কম বয়সে আমরা নানা ধরনের ভুল করে থাকি। যা পরবর্তীতে আমাদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনই কম বয়সে, শরীরের জোর বেশি থাকে। সহজে কোনও রোগ কাবু করতে পারে না। তাই অনেক খারাপ অভ্যাস তৈরি হয়। যেমন ধরুন ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব। কম বয়সে এর প্রভাব না বোঝা গেলেও বয়স ৩৬ পেরোলেই দেখা দিতে শুরু করে প্রভাব। তেমনটাই উঠে আসছে জ্যভাস্কিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায়। যা প্রকাশিত হয়েছে অ্যানালস অফ মেডিসিন জার্নালে।

এই গবেষণার জন্য, গবেষকরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিনিশ শহরের প্রায় ৩৭০ জন বাসিন্দাকে নিয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। ২৭, ৩৬, ৪২, ৫০ এবং ৬১ বছর বয়সীদের দীর্ঘ দিনে পর্যবেক্ষণে রেখে নানা চিকিৎসা পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে তিনটি খারাপ অভ্যাস, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং শরীর চর্চার অভাব, ৩৬ বছর বয়সীদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে।

গবেষকরা আরও বলছেন যে, ৪০ এবং ৫০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অস্বাস্থ্যকর আচরণ বৃদ্ধ বয়সে স্বাস্থ্যগত ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় বলে জানা যায়। তবে, তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ৩৬ থেকে ৬১ বছর বয়স পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর আচরণের কুপ্রভাব একই রকম ছিল। যা ইঙ্গিত দেয় যে এই যোগসূত্রটি ৩৬ বছর বয়সেও বিদ্যমান কেবল মধ্যবয়সের পরবর্তী পর্যায়ে নয়।

গবেষকরা আরও দেখেছেন যে অংশগ্রহণকারীদের বয়স যখন ৩০-এর মাঝামাঝি ছিল তখনই এর খারাপ প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জ্যভাস্কিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরোন্টোলজি রিসার্চ সেন্টারের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী এবং গবেষণার প্রধান লেখক টিয়া কেকালাইনেন বলেন, “আমাদের গবেষণায় ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য আচরণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মোকাবেলা করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, যাতে বছরের পর বছর ধরে এর ফলে যে ক্ষতি হয় তা রোধ করা যায়, যা পরবর্তী জীবনে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতির দিকে পরিচালিত করে।”

কেকালাইনেন জানান যে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায় এবং অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা কমানো যায়।

বিশেষ করে ব্যায়ামের অভাব শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি এবং ধূমপানের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি বিশেষভাবে যুক্ত। তবে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতির সঙ্গেও যুক্ত।

এই তিনটি অস্বাস্থ্যকর আচরণ দীর্ঘমেয়াদে আরও শক্তিশালী ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করতে দেখা গেছে, যার ফলে হতাশাজনক লক্ষণ এবং বিপাকীয় ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, “বর্তমান গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ৩৬ থেকে ৬১ বছর বয়স পর্যন্ত এই সম্পর্কগুলি মূলত একই রকম ছিল। সুতরাং, পূর্ববর্তী ঝুঁকিপূর্ণ আচরণগুলির ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ৩৬ বছর বয়সে ইতিমধ্যেই বিদ্যমান এবং কেবল মধ্যজীবনের পরবর্তী পর্যায়ে নয়।”